Home > অন্যান্য > ‘করোনায় মৃত দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না, দাফন-কাফনে যারা বাঁধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’

‘করোনায় মৃত দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না, দাফন-কাফনে যারা বাঁধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’

করোনায় যারা মারা যায় তাদের মৃত দেহ থেকে কোন ভাবেই করোনা ছড়ায় না।করোনা নামক মহামারীতে যারা মারা যায় পবিত্র হাদিস শরীফ অনুযায়ী তারা শহীদ।এই শহীদদের দাফন কাফনে যারা বাঁধা দিবে তারা কোন ভাবেই নিজেদের মুসলমানতো নয়ই এমনকি মানুষ হিসেবেও দাবী করার কোন নৈতিক অধিকার তাদের নেই।তারা মানুষ নামে পশু।এই মানুষ রুপী পশুদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

রুখে দাঁড়াতে হবে তাদের বিরুদ্ধে।অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে।এই প্রতিবাদ এখনি শুরু করতে হবে এবং আজ থেকেই।

পবিত্র কোরআন শরীফের সুরা আল-বাকারায় স্বয়ং মহান আল­াহ পাক বলেছেন,‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিও না,জেনে শুনে সত্যকে গোপন করো না’।অথচ আমরা প্রতিনিয়ত সত্যের সাথে মিথ্যাকে আর মিথ্যার সাথে সত্যকে মিশিয়ে নিজের মত করে জগাখিচুরী বানিয়ে নিজে খাচ্ছি আর অপরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে অন্যের পাপ গুলো নিজের গাঢ়ে আনছি।নিজে জানি না। এটা কোন অপরাধ হতে পারে না। কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হচ্ছে না জেনেও জানার চেষ্টা না করা এবং না জেনে না বুঝে অন্যায় করা।মহামারী করোনা যেখানে আমাদের মানবিক হতে শিক্ষা দেওয়ার কথা কিন্তু দূর্ভাগ্য কতিপয় মানুষ রূপি পশুর কারণে সেখানে সমষ্টিগত ভাবে জাতি হিসেবে আমরা অমানবিক হয়ে যাচ্ছি কিনা সেটা এক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

করোনা মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে করোনা ছড়ায় এই ঢাহা মিথ্যা ও অবৈজ্ঞানিক কথাটি সত্য বানিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ নামের পশু করোনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের সাথে প্রতিনিয়ত অমানবিক আচরণ করে যাচ্ছে যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না।

চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মহামারী করোনা দেখা দিলেও আমাদের দেশে প্রথম ধরা পড়ে চলতি বছরের ৮ মার্চ।সেই থেকে শুরু।গত ৫ জুন পর্যন্ত প্রায় গত চার মাসে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে।মৃত’্যর সংখ্যা ছাড়িয়েছে আটশ’র উপর।দিন দিন দেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে ধাবমান।লকডাউনের ধকল শেষ করে শর্ত সাপেক্ষে সরকার সব কিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে আসলেও দ্বিতীয় বার দেশ লকডাউনে পড়তে যাচ্ছে কি না সে প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে প্রতি মুহুর্তে।

জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ সারা বিশ্বের কাছে উদার,নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সংবেদনশীল জাতি হিসেবে পরিচিত।এ দেশের মানুষের কৃষ্টি ,সংস্কৃতি ও আত্মীয়তার নিবির বন্ধন বিশ্বের ইতিহাসে সর্বজনবিদিত এবং দূর্লভ।বিপদে আপদে,হাসি কান্না ও আনন্দ বেদনা যে ভাবে এদেশের মানুষ ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ভাগাভাগি করে নেয় এমন মানবিকবোধ সম্পন্ন জাতি এই ধরণীতে আর কোথায় আছে?অথচ করোনা হঠাৎ করে কেন আমাদের হাজার লক্ষ বছরের মানবিকবোধ সম্পন্ন জাতিকে অমানবিক করে তুলল। করোনার কোন রকম অস্তিত্ব না থাকার পরেও হাসপাতাল গুলো রোগী ভর্তি করছে না।ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছে না। চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে।

করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল টু হাসপাতাল ঘুরতে ঘুরতে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ পাওয়ার আগেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে মানুষ।করোনার উপসর্গ আছে বলে বৃদ্ধ মাকে রাতের আধারে জঙ্গলে ফেলে দিব্যি চলে যাচ্ছে সন্তান।করোনায় মারা গেছে বলে মৃত ব্যক্তিকে এলাকায় দাফন কাফন দিতে দিচেছ না এলাকার তথা কতিথ সমাজপতিরা।শুধু তাই নয়,বাবা করোনায় মারা গেছে বলে কাছে আসছে না সন্তান,স্বামী মারা গেছে বলে সামনে আসছে না প্রিয়তমা স্ত্রী,ভাই বোনসহ স্বজনরা।

সমাজপতিদের কথা বাদ দিলাম।অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে করোনায় মৃত ব্যক্তির একান্ত স্বজনরাও কাছে আসছে না।কেউ যখন কাছে আসছে না তখন নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের ,পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হালে গড়ে উঠা কিছু মানবিক সংগঠন এগিয়ে আসছে তাদের দাফন কাফনে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় মিডিয়ায় এই করুণ কাহিনী গুলো উঠে আসছে।

গত ৫ জুন দৈনিক আমাদের কুমিল্লার প্রথম পাতায় ‘স্বামীর চিকিৎসা,দাফনের করুণ কাহিনী বললেন নিপা!’শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কুমিল­ার দেবিদ্বারের কুরুইন গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে অহিদুর রহমান(৩৮)।করোনা উপসর্গ নিয়ে অহিদুর রহমান মারা যায় কুমিল­া নগরীতে।মারা যাওয়ার আগে তাকে হাসপাতালে নেওয়া আনাসহ যে চরম ভোগান্তিতে পরিবারটি পড়েছে সেটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই কলামে পূনরাবৃত্তি করে লেখার কলোবর বড় না করে শুধু দাফন কাফনের বর্ণনার চুম্বুক অংশটি দিতে চাই।

অহিদের সদ্য বিধবা স্ত্রী নিপা মৃত লাশটি নিয়ে যখন বাড়ি গেলেন তখন অহিদের বাবা, মা,ভাই বোন কেউ লাশের কাছে এলেন না।এমন কি করোনায় মারা গেছে বলে স্ত্রী নিপাকে ঘরে ডুকতে দেয়নি অহিদের একান্ত স্বজনরা।লাশ পড়ে আছে এ্যাম্বুলেন্সে কাগজে মুড়ানো অবস্থায়।নিশি অন্ধকারে গাছের নিচে বসে কাঁদছে বিধাব স্ত্রী নিপা। রাত গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। কেউ লাশ নামাচ্ছে না,কাছেও আসছে না।এদিকে এ্যাম্বুলেন্স চালকও লাশ নামানোর তাড়া দিচ্ছে বিধাব মহিলাটিকে।উপায় না পেয়ে কান্নাকেই একমাত্র পুঁজি হিসেবে বেছে নিয়ে নিলেন স্ত্রী নিপা।গাছ তলায় বসে কাঁদছেন। খবর পেলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউসার অনিক।মুহুর্তেই আল­াহর সাক্ষাত দেবদূত হয়ে তিনি তার দলবল নিয়ে এলেন। কিন্তু মৃত অহিদের স্বজনদের কাছে কাফনের জন্য এক টুকরো পুরান কাপড়ও চেয়ে পাননি তিনি।এলাকার এক মাতব্বর এসে বলে গেলেন,লাশটি জেনো কবরস্থানের সামনের দিকে দাফন না করা হয়।আর কবরস্থানে যেন লাশ নিয়ে সোজা পথে না যায়। সেই কথিত সমাজপতির বক্তব্য এমন,যেই রাস্তা দিয়ে লাশ যাবে সেই রাস্তার মধ্যেই করোনা ঢুকে পড়বে।

ছাত্রলীগ নেতা অনিক মাতব্বরের কথায় সহজ পথে না গিয়ে ধানী জমি মারিয়ে কাঁদা পানি ঠেলে কবরস্থানের সর্বশেষ এক কোনায় দাফন করে আসলেন অহিদুর রহমানকে। আর ঘরে বসে ঘুমালেন বাবা-মা ভাই বোনসহ প্রিয় স্বজনরা।

করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা অহিদুর রহমান প্রথমেই বঞ্চিত হয়েছে নগর কুমিল­ায় ঐ রাতে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে । দ্বিতীয়ত্ব সে বঞ্চিত হয়েছে পরিপূর্ন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন কাফন থেকে। তৃতীয়ত্ব সে বঞ্চিত হয়েছে তার ইহকালের শেষ বিদায়ে মা বাবা,ভাইসহ স্বজন ও এলাকাবাসীর স্বাভাবিক বিদায় না পাওয়ার ক্ষেত্রে।

এখন আমার প্রশ্ন,এখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া অহিদুর রহমানের অপরাধ কি।স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ার যেমন নাগরিক অধিকার ছিল অহিদের, একই ভাবে নাগরিক অধিকারে পাশাপাশি ধর্মীয় অধিকারও ছিল তার শেষ বিদায়ে দাফন কাফন পাওয়ার। কিন্ত এই অমানবিক সমাজ অহিদকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এই অমানবিক ঘটনার শিকার শুধু এই অহিদই হননি।বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জেও হয়েছে এই একই ঘটনা। এখানে শুধু অহিদের ঘটনাটি বিধৃত করা হয়েছে বর্তমানে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা অসংখ্য অহিদের প্রতিনিধি হিসেবে।

মানুষ কেন এত অমানবিক,অমানুষ ও জন্তু জানায়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট দয়া মায়াহীন হয়। কেন একজন মৃত মানুষকে দাফন কাফনে বাধা প্রদান করে। তাহলে কি মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে করোনা ছড়ায় ?করোনায় মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে করোনা ছড়ায় কি না এবং করোনায় মৃত ব্যক্তি শহীদী মর্যাদা পায় কিনা তা এখন জানার চেষ্টা করব।

বিশিষ্ট চিকিৎসক ও কুমিল­া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.মুজিবুর রহমান বলেছেন,করোনায় মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে করোনা ছড়িয়েছে এমন কোন উদাহরণ আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোথায়ও কেউ দিতে পারেনি।আর করোনায় মৃত ব্যক্তির মাধ্যমে যে করোনা ছড়ায় না এটা বোঝার জন্য কোন পন্ডিত হওয়ারও দরকার নেই। অনেকে বলেন, মারা যাওয়ার দুই ঘন্টা পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির দেহে করোনা বিদ্যমান থাকে এটাও ডাহা মিথ্যা বলে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান।

কুমিল্লা জেলায় দীর্ঘ সময় ধরে সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পালন করা কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান আরো জানান,করোনা ছড়ায় একমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কিংবা কাশি থেকে অথবা তার দেহ থেকে বের হয়েছে এমন কোন লালা বা পদার্থ থেকে।একজন মৃত ব্যক্তিতো আর হাঁচি কিংবা কাশি দিতে পারে না।যেহেতু মৃত ব্যক্তি হাঁচি কিংবা কাশি দিতে পারে না তাই তার কাছ থেকে করোনা ছড়ানোর ৯৫ ভাগ কোন সম্ভাবনা থাকে না।

আর যেই ৫ ভাগ থাকে। সেই আক্রান্ত ব্যক্তি যদি হাসপাতালে মারা যায় তাহলে আমরা সেই ৫ ভাগও অর্থাৎ শরীরের প্রতিটি ছিদ্র পথ বন্ধ করে তারপরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করি। যেমন মৃত ব্যক্তির নাক,মুখ,কান এমনকি তার পায়ুপথটুকু আমরা তুলা দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় বন্ধ করে দেই যাতে কোন লালাও না বের হয়।এরপর কাপড় ও প্লাষ্টিক দিয়ে সার্জিকেল ভাবে আমরা মরদেহটি প্যাকেট বন্দি করি।কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ও কুমিল­ার বরেণ্য এই চিকিৎসক নেতা বলেন,আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি,করোনায় মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে নূন্যতম কোন করোনা ছড়ায় না।এটা আমার কথা না। এটা মেডিকেল সাইন্সের কথা। আপনারা নির্ভয়ে তার দাফন কাফন করতে পারেন।

অপর দিকে, বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ,ইমাম ও কুমিল­া এ্যাথনিকা এন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক হযরত মাওলানা আবু হানিফ মজুমদার বলেন,শহীদ দুই প্রকার। এক শহীদী হাকিকি আর অপরটি হল শহীদী হুকমি।শহীদী হাকিকির কথা বলা হয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফে স্বযং আল­াহ। আল­াহ গাফুরুর রাহিম কোরআনে বলেছেন, যারা সরাসরি আমার আইন বাস্তবায়নের জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিবে তারা হলো শহীদী হাকিকি।তাদের কোন গোসল কিংবা জানাযার প্রয়োজন হবে না। আর শহীদী হুকমির কথা বলা হয়েছে পবিত্র হাদিস শরীফে। শহীদী হুকমির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হাদিস বিশারদগণ বলেছেন,যারা আগুণে,পানিতে পড়ে কিংবা কোন মহামারিতে রোগ শোকে মারা যাবে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে। তারাও শহীদ হিসেবে গণ্য হবেন। সেই হিসেবে এখন যারা করোনায় মারা যাচ্ছেন তারা হলেন শহীদ।তারা শহীদীর হুকুমির পর্যায়ভুক্ত।

বিশিষ্ট ওলামায়ে দিন ও ইমাম হযরত মাওলানা মো.আবদুল নোমান বলেছেন,করোনা একটা মহামারী। এই মহামারিতে যারা মারা যাবেন হাদিস অনুযায়ী তারা শহীদী মর্যাদা পাবেন। এই শহীদদের যারা দাফন কাফনে বাধা প্রদান করবে তারা অবশ্যই বড় ধরনের গুনাহর কাজ করবে। তিনি এ ধরনের গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

আজ যারা বলেন, মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে করোনা ছড়ায় ডা.মুজিবুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী তারা মিথ্যা বলেন। আর যারা মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনে বাধা প্রদান করেন উপরের দুই জন বিজ্ঞ আলেম সাহেবদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা গুনাহর কাজ করছেন। এবং পবিত্র সুরা আল বাকারার আয়াতটি এই লেখায় আবারোও উলে­খ করছি, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিও না,জেনে শুনে সত্যকে গোপন করো না’।প্রয়াত সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ বলে গেছেন ‘আমাদের দেশ থেকে সত্য বাবু চলে গেছেন,সত্য বাবু মারা গেছেন।’ আমরা সত্যকে গোপন করব না আর মিথ্যা কথা বলব না।

আমরা পবিত্র কোরআন এর মর্মবানী অনুযায়ী , সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশাবো না,জেনে শুনে সত্যকে গোপন করব না।করোনায় মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে করোনা ছড়ায় না- এই সত্য কথাটি আমরা নিজেরা মানব অপরকে জানাবো।করোনার কারনে আমাদের মানবিক বিবেক যেন আর অমানবিক না হয়ে উঠে,আমরা যেন পাষন্ড না হয়ে উঠি সেই বিষয়ে আসুন আমরা সবাই সচেষ্ট হই। যারা করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনে বাধা সৃষ্টি করবে আসুন সামাজিক ভাবে তাদের বয়কট করি। তাদের অমানুষি কার্যকলাপ জাতির সামনে তুলে ধরি এই হোক আজ আমাদের শপথ। মহান আল­াহ আমাদের মানবিক বিবেক জাগ্রত করুক আমিন।

লেখক: শাহজাদা এমরান
সাংবাদিক, সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক।
ই-মেইল: sahajadaamran@yahoo.com.