আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীর আম বিনা ভাড়ায় ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। কৃষকবন্ধু ডাক সেবার আওতায় এর মাধ্যমে কেবল ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা আম পাঠাতে পারবেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর পুঠিয়ার এক আম চাষির ৫ টন আম ঢাকায় পাঠিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।
অনলাইনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এ সময় সচিব নুর উর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ম. শেফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এসব মৌসুমি ফল রাজধানীর বিভিন্ন মেগাশপ ও পাইকারি বাজারে বিপণন করা হবে। বিক্রয়লব্ধ টাকা কোনও মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কৃষকের হাতে পৌঁছে যাবে। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে নিয়োজিত ঢাকাফেরত গাড়িগুলো বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের পণ্য পরিবহনে সরকারের বাড়তি কোনও খরচেরও প্রয়োজন হবে না।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাজশাহীর ডিসি মো. হামিদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র রাজশাহীতে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে মধুপুর থেকে আনারস পরিবহনসহ চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই কার্যক্রম চালু করা হবে। করোনা সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা সহজ করতে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে। এছাড়াও বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছানোসহ জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন ডাক সেবা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ ডাক সেবা চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র বলেন, কৃষক স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই উদ্যোগ সফল করতে ডাক বিভাগ বদ্ধপরিকর। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক বলেন, বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের আম পরিবহনে সরকারের এই উদ্যোগ এই অঞ্চলের প্রান্তিক আম চাষিদের জন্য খুবই সহায়ক একটি কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির আওতায় গত ৩১ মে থেকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে বিনা ভাড়ায় লিচু পরিবহন চালু করা হয়। করোনার বৈশ্বিক ক্রান্তিকালে প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী‘র নির্দেশে গত ৯ মে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা থেকে কৃষকবন্ধু নামে এই কর্মসূচিটি চালু করা হয়।