Home > জাতীয় > জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও মিডিয়া সাক্ষরতা জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও মিডিয়া সাক্ষরতা জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

বাস্তব জীবনের পাশাপাশি আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ফলে নারীরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আলোচকরা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৬তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা ভয়েস এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

‘নারীর অধিকার ও মানবাধিকার: প্রযুক্তির সাহায্যে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে তারা এসব কথা বলেন।

সভায় বক্তারা মানবাধিকার রক্ষার্থে, প্রযুক্তির সাহায্যে নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতা নির্মূল করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই বলে সম্মত হন। তারা বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও মিডিয়া সাক্ষরতা সম্পৃক্ত বিষয়গুলোকে প্রাথমিক পর্যায় থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আধুনিক যুগেও বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, নারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ফলে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।

সভায় উপস্থিত নারীরা বলেন, ডিজিটাল সহিংসতার আশঙ্কায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে পড়েন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে সাইবার বুলিং, স্টকিং, অনলাইন হয়রানি, ডক্সিং, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে বানানো আপত্তিজনক ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। যা নারীদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পেশাগত ভাবমূর্তিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করছে।

আলোচনা সভায় অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার প্রতি জোর দেওয়া হয়। বাস্তবসম্মত সমাধান হিসেবে ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে জাতীয় পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা, কার্যকর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়নে উদ্যোগ গ্রহণ, পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সুরক্ষায় উন্নত ব্যবস্থা কার্যকর করতে অনুরোধ জানানো হয়।

আয়োজনে উপস্থিত সাংবাদিক, নারী ও মানবাধিকার কর্মীরা নিজ নিজ পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত প্রদান করেন।