Home > 'কোভিড-১৯' সর্বশেষ আপডেট > করোনার মধ্যেই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে

করোনার মধ্যেই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে বরগুনার ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

আম্ফানের প্রভাবে পায়রা বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকলেও বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকাসমুহে এর তেমন কোনো প্রভাব নেই। দিনভর গ্রীষ্মের কড়া রোদের সাথে দাবদাহ অব্যহত ছিল। আকাশে মেঘ বা দমকা অথবা টানা মাঝারি বাতাসও বইছে না। তবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এখন পর্যন্ত নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পায়নি।

দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় আমফান প্রতিরোধে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারি-বেসরকারি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরি বলেন, আমফান থেকে সতর্ক আছেন জেলেরা। ইতোমধ্যেই তারা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে জেলেদের নিষেধ করে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে অবস্থান করতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন, সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে তবে নদ-নদীতে এর কোনো প্রভাব এখনো পড়েনি।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রশাসন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মোংলা বন্দরের জাহাজ ও নৌযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটি জেলা ও ঝুঁকিপূর্ণ চার উপকূলীয় উপজেলায় জরুরি সভা করেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে স্থানীয় লোকজন থাকতে পারে সেজন্য জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খুলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মাঠে পেকে যাওয়া বোরো ধান যেন নষ্ট না হয় তাই দুর্যোগ শুরুর আগেই তা কেটে কৃষকের ঘরে তুলতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় সাগরদ্বীপে বুধবার সন্ধ্যায় আমফান আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করেছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাস পেয়েই সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের সচেতন করা হচ্ছে, বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।