Home > জাতীয় > সারাদেশ > জুমার নামাজে মুসল্লি বেশি, মুসল্লিদের ফেলে পেটালেন আ. লীগ নেতারা

জুমার নামাজে মুসল্লি বেশি, মুসল্লিদের ফেলে পেটালেন আ. লীগ নেতারা

সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে মসজিদের মুয়াজ্জিন সহ সাত মুসল্লিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজারে ।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মাদবর, চুন্নু মাদবর ও তাদের সহযোগিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চর মাহ্মুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.শাহ্ আলম সহ পুলিশের একটি দল। এ নিয়ে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার জুমার নামাজে সর্বোচ্চ দশজন জামাত আদায় করতে পারবে। কিন্তু ওই মসজিদে আনুমানিক ১৫-১৬ জন মুসল্লি উপস্থিত হন।

আগে থেকেই কার্তিকপুর বাজার মসজিদের ইমাম ও মুয়জ্জিনরা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী মুসল্লিদের জানিয়ে দেন বেশি লোক না আসার জন্য।

তার পরেও ৫-৬ জন লোক বেশি হওয়ায় মুয়াজ্জিনের কাছে এর কারণ জানতে চায় চুন্নু মাদবরসহ তার সাথে থাকা কয়েকজন।

এ নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে চুন্নু মাদবরের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন ও তার আরেক ভাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু সহ বেশ কয়েকজন মসজিদে ছুটে এসে মসজিদের মুয়াজ্জিন আবু সাঈদ, মুসল্লি আনোয়ার হোসেন, তার ভাই আবুল হোসেন, জিন্নত, এজাজ আহমেদ মন্টু সহ অন্তত সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলার মাহ্মুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, ঘটনা যাই হয়েছে কিন্তু মুসল্লীদের মারার অধিকার তাদের নেই।

এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।