Home > আন্তর্জাতিক > ঘরে পড়ে রয়েছে সন্তানের মৃ’তদেহ, লকডাউনে আটকে পড়েছেন মা

ঘরে পড়ে রয়েছে সন্তানের মৃ’তদেহ, লকডাউনে আটকে পড়েছেন মা

ভারতের বিহারে বাড়িতে তিন নাবালিকা মেয়েকে রেখে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন রোজগারের তাগিদে মা অনিতা দেবী। পরিকল্পনা ছিল কিছু টাকা রোজগারের পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তার মাঝেই বিশ্বজুড়ে থা’বা বসিয়েছে করোনা। দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন।

ফলে পশ্চিমবঙ্গের পূ্র্ব বর্ধমানের কাটোয়ার আরএমসি মার্কেটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আ’টকে পড়েছেন বিহারের ভাগলপুরের ওই বধূ। এর মাঝেই মোবাইল ফোনে এসেছে চ’র’ম দুঃসংবাদ। বাড়িতে মৃ’ত্যু হয়েছে ১৫ বছরের মেয়ের। মৃ’তদেহটি পড়ে রয়েছে ঘরেই। শেষবারের মতন মেয়ের মুখটা দেখার কোনও উপায় নেই মায়ের। কাটোয়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বসেই চোখের জল ফেলে চলেছেন সন্তানহা’রা অনিতা দেবী।

 

 

বিহারের ভাগলপুর, মুঙ্গের ও বাঁকা জেলা থেকে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর লক্ষ্মীপুরে আলু তোলার কাজে আসেন ১৬০ জন শ্রমিক। তারা কাজ সেরে ফেরার মুখেই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তড়িঘড়ি পুরসভার তরফে শ্রমিকদের দুটি গাড়িতে চাপিয়ে বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে ঢোকার মুখেই কার্যত লাঠিপেটা করে তাদের কাটোয়ায় ফিরিয়ে দেয় ঝাড়খণ্ড পুলিশ। সেই থেকেই তাদের ঠাঁই কাটোয়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেই দলেই রয়েছেন অনিতাদেবী।

জানা গিয়েছে, ওই বধূর বাড়ি মুঙ্গেরের তাড়ি গ্রামে। মঙ্গলবার সেখান থেকে থেকে তার বড়মেয়ে আরতি কুমারীর (১৫) মৃ’ত্যু সংবাদ এসেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। বেশ কিছুদিন ধ’রে অসুস্থ ছিল ওই নাবালিকা। যদিও অনিতা দেবীর দাবি, তার ফেরার দু’শ্চি’ন্তায় মৃ’ত্যু হয়েছে মেয়ের। সূত্রের খবর, অনিতাদেবীর স্বামীও পরিযায়ী শ্রমিক।

তিনি পাঞ্জাবের হরিয়ানায় এক গ্রামে কাজে গিয়ে লকডাউনের জেরে আ’টকে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকহী’ন হয়ে পড়েছে তাদের সন্তান। সন্তানের চিন্তায় দিশেহা’রা স্বামী-স্ত্রী। এপ্রসঙ্গে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”আগেও চেষ্টা করেছিলাম ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে। ঝাড়খণ্ড থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফের চেষ্টা করছি যাতে অসহায় মহিলা অন্তত বাড়ি যেতে পারেন।”