Home > জাতীয় > সারাদেশ > ঝুঁকিতে কুমিল্লা, ১৪ হাজার প্রবাসীর মধ্যে ৮৭০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

ঝুঁকিতে কুমিল্লা, ১৪ হাজার প্রবাসীর মধ্যে ৮৭০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

চলতি মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রবাস থেকে ১৪ হাজার ১৮৩ জন প্রবাসী কুমিল্লায় আসলেও এর মধ্যে ৮৭০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম গতকাল এ কথা নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে, সরকারি তথ্যমতে, কুমিল্লার ১৩ শতাংশ মানুষ প্রবাসে রয়েছেন। এছাড়া পাঁচটি উপজেলা সিমান্তবর্তী। ফলে কুমিল্লায় ঝুঁকির পরিমাণ বেশী।

কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গতকাল ২০ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, আদর্শ সদর উপজেলায় ২৬, মেঘনা ২১, হোমনা ২১, তিতাস ৭৯, দাউদকান্দি ২৮, মুরাদনগর ৩২১, দেবিদ্বারে ১০, বুড়িচং ১৯, বি. পাড়া ০৯, চান্দিনা ২২, বরুড়া ১২, লাকসাম ৫১, মনোহরগঞ্জ ৫৭, নাঙ্গলকোট ৭৬, চৌদ্দগ্রাম ১৮, সদর দক্ষিণে ৫৭ ও লালমাই উপজেলায় ৪৩ জনসহ কুমিল্লা মোট ৮৭০জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

কুমিল্লা শহরতলীর বাসিন্দা মো. কাউছার জানান, গত দুই সাপ্তাহের মধ্যে যারা প্রবাস থেকে এসেছেন তাদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন না। তারা সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। শুক্রবার জুমার নামাজে অনেকে শামিল হয়েছেন।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত কুমিল্লা ৮৭০ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন। বৃহস্পতিবার যার সংখ্যা ছিলো ৬১০ জন। কুমিল¬ায় ইতোমধ্যে ৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বের হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত
১৪ হাজার ১৮৩ জন প্রবাসী কুমিল¬ায় এসেছেন। ইতালি, সিঙ্গাপুর, ইরান, কানাডার প্রবাসী বেশী কুমিল¬ায়। তাদের একাধিক ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। এলাকা ভিত্তিক কমিটি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবার আন্তরিকতা প্রয়োজন।

কুমিল¬া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত আছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পেয়েছি। জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগীগণ প্রাথমিক ভাবে টেলিমেডিসিনের (০১৯৩৫০০৭০৪৯) মাধ্যমে জরুরি বিভাগ থেকে ২৪ ঘণ্টা সেবা নিতে পারবেন।