Home > জাতীয় > সারাদেশ > বাংলাদেশিরা ভারতে যেতে না পারলেও ভারতীরা বাংলাদেশে আসতে পারবেন!

বাংলাদেশিরা ভারতে যেতে না পারলেও ভারতীরা বাংলাদেশে আসতে পারবেন!

সম্পূর্ণ বন্ধই হয়ে গেল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিমান, রেল ও বাস যোগাযোগ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত সমস্ত রকম পর্যটক ভিসা বাতিল করার পরে কাল থেকেই দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত কমে গিয়েছিল।

শুক্রবার দিল্লিতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বাস পরিষেবাও।

সেই হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না আজ শনিবার থেকে। তবে ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভারতীয় মহদিপুর ইমিগ্রেশন সোনা-মসজিদ পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানায়।

সোনা-মসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টারের কর্মকর্তা এসআই জাফর ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন করোনাভাইরাস সনাক্তে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চারটি ও পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুটি করে ১০টি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।

গত বুধবার থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।

এ দিকে ভারত ভিসা বন্ধ করে দিচ্ছে। এ কারণে বন্দরে হঠাৎ করে পাসপোর্টধারী যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টারের কর্মকর্তা এসআই জাফর ইকবাল জানান, গত বৃহস্পতিবার দেড় শতাধিক যাত্রী পারাপার হলেও শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যাত্রী পারাপার হয়েছে।

এ বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী মো. জহির জানান, তিনি তার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আরও কয়েকদিন পরে যেতেন। কিন্তু ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় ধারদেনা করে গত শুক্রবারই ভারতে চলে যেতে হচ্ছে। শুধু মো. জহির নয়, এ রকম অনেক যাত্রী ভিসা বন্ধ হওয়ার আশংকায় গত শুক্রবার ভারতে প্রবেশ ও ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসছেন।

এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন অফিসার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন। তবে তার কাছে কোনো এ ধরনের নির্দেশনা নাই বলে জানান।

অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। শ্রমিকরা পাসর্পোটধারী যাত্রী বন্ধ হলেও আমদানি-রফতানি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে বন্দরে কাজ করছে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম। পাসর্পোটধারী যাত্রী ভারতে গমন বন্ধ হলেও ভারত থেকে আগতদের পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম বন্দরে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।

তিনি আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত ও ইটালি ফেরত দুজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে মনিটরিং করা হচ্ছে।