Home > জাতীয় > সারাদেশ > বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীকে ‘স্পর্শকাতর স্থানে কম্পাসের কাঁটা দিয়ে’ নির্যাতন

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীকে ‘স্পর্শকাতর স্থানে কম্পাসের কাঁটা দিয়ে’ নির্যাতন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রদল নেত্রীকে মারধর ও কম্পাসের কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধরের পর জ্যামিতি বক্সের কম্পাসের কাঁটা দিয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আহত করার অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।

গুরুতর অবস্থায় তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ছাত্রীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনা তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন ওই ছাত্রীর স্বজনরা।

এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আহত ছাত্রী ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত।

তিনি জানান, ১ মার্চ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সিঁড়িতে তাকে ঘিরে ধরে একদল মুখোশধারী। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে তার মুখ চেপে ওই ভবনের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে তারা। পরে তার হাতে থাকা জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান খুঁচিয়ে জখম করে। ওই দিন বাসায় ফিরে গেলেও নিরাপত্তার অভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তিনি জানান, বাসায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার দুপুরে তাকে ভর্তি করা হয় শের-ই বাংলা মেডিকেলের মহিলা ইউনিটে।

তার ভাই জানান, এর আগেও তার বোনকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ক্ষতস্থানে ইনফেকশনের আশঙ্কায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই ছাত্রীর বোন বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পরও তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান হচ্ছে। তিনি নির্যাতনকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ডা. সালেহ মাহদী বলেছেন, তার ক্ষত আশঙ্কাজনক নয়। তবে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। বুধবার বিকেলে গণিত বিভাগের দুই শিক্ষক এবং একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ছাত্রী নির্যাতনের বিষয়টি অবহিত হন। কারা কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার অনুসন্ধানসহ লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো জানান, তার বোন ছাত্রদলের রাজনীতি করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেইসবুকে তিনি কিছু সমালোচনা করেন। যা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে তার তর্ক হয়। তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ নগরীর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। দুর্বৃত্তদের হুমকির মুখে ওই জিডি প্রত্যাহার করা হয়। কিছুদিন আগে ফোনে হুমকিদাতা একজনের নাম উল্লেখ করে একটি পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়। তারপর এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার অভাবে এবার পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি তারা।

তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন ওই ছাত্রীর বোন।