Home > রাজনীতি > পাপিয়ার পেছনে যারা তাদেরও খুঁজে বের করা হবে: ওবায়দুল কাদের

পাপিয়ার পেছনে যারা তাদেরও খুঁজে বের করা হবে: ওবায়দুল কাদের

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার শামিমা নূর পাপিয়ার বিচার তার অপরাধ অনুযায়ী হবে। তার পেছনে যারা আছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

পাপিয়ার পরিচয় যা-ই হোক, অপরাধী হিসেবে, অপরাধ অনুযায়ী তার বিচার হবে। সচিবালয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

পাপিয়ার পেছনে যারা আছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধের বিচার করতে গেলে তো পেছনের লোক খোঁজা হয়, হবে না কেন?

পাপিয়াকে মদদদাতা বা জড়িতরা সামনে আসবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, তারা সামনে আসবে না- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এ সরকারের আমলে এ ধরনের বিচার প্রক্রিয়ায় সবই এসে গেছে। যখন আদালতে বিষয়টি যাবে, তখন আদালতে সবকিছুই আসবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান না দলের শুদ্ধি অভিযানে পাপিয়াকে ধরা হয়েছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধের জন্য যাদের গ্রেফতার করছে, শাস্তি দিচ্ছে, আদালতে যাচ্ছে, সেটি কি সরকারের ইচ্ছার বাইরে হচ্ছে?

সরকারের এ বিষয়টাতে সায় আছে, তাই এসব ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে বলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে- অপরাধ যারা করবে, অপকর্ম যারা করবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে কোনো সরকারের আমলে দলীয় অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে- এমন কোনো নজির নেই।

দলের ভেতর এ ধরনের অপরাধী আরও আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগের আগেও সরকার ছিল। ২১ বছর পাওয়ারে ছিলাম না, তখনও গভর্নমেন্ট ছিল। পার্থক্য এই, অন্যান্য সরকার অপরাধী ও অপকর্মকারীদের বিচার বা তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা অবহেলা-উপেক্ষা করেছে।

তারা কখনও নিজেদের দলের তো প্রশ্নই উঠে না। অপরাধীদের বিষয়ে তাদের অ্যাটিচিউড ছিল দুর্বল। সে কারণে অপরাধীরা, অপকর্মকারীরা শাস্তি পায়নি। এ সরকারের আমলে অপরাধী যদি অপরাধ করে, তার পরিচয় দলীয় হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া আছে- যে পরিচয়ই হোক, যেন প্রয়োজনীয় অপকর্মের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল এক্সপ্রেস ও ঢাকা-সিলেট ৬ লেন রাস্তা : এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-সিলেট ফোর লেনে দুটি সার্ভিস লেনসহ ৬ লেনের জন্য মার্চের মধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন হয়ে প্ল্যানিং কমিশনের অনুমোদন হবে।

আগামী জুলাই থেকে ফিজিক্যাল কনস্ট্রাকশন শুরু করা যাবে। এখানে ঢাকা-সিলেটে ৬ লেন এক্সপ্রেসওয়ে হবে ২০৯ কিলোমিটার। ফ্লাইওভার থাকবে ৮টি, ওভারপাস ২২টি এবং রেলওভার পাস ৫টি, ব্রিজ ৬৯টি, আন্ডারপাস ১০টি ও ফুটওভার ব্রিজ থাকবে ২৯টি।

এ প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফান্ডিং ম্যাক্সিমাম এডিবি করবে, আগের বাজেট পরিবর্তন হয়েছে ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায়। আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার। তবে বাস্তবায়নের সময় নিয়ে আলোচনা হয়নি।

সাসেক-২ (সাউথ এশিয়া সাবরিজওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন)-এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এলেঙ্গা থেকে রংপুর সড়কের আটটির মধ্যে সাতটি প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। সাসেক-৩ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, রংপুর থেকে বুড়িমারি ও অন্যদিকে রংপুর থেকে গাইবান্ধা হবে। এছাড়া এডিবি নেক্সট ফান্ডিং করার জন্য ভাবছে ফরিদপুর-বরিশাল।

ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সড়কে কোনো এক্সপ্রেসওয়ে না করে রেল এক্সপ্রেসওয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম রেল এক্সপ্রেসওয়ে করার চিন্তাভাবনা আছে, রোডে আর কোনো কিছু করার চিন্তাভাবনা করছি না। রোডের দুটি এক্সপ্রেসওয়ে করার পরিবর্তে রেল এক্সপ্রেসওয়ে করা সুবিধাজনক মনে করা হচ্ছে।