Home > বিশেষ সংবাদ > নিজের প্রাণ দিয়ে পুত্রবধূর সম্ভ্রম রক্ষা করলেন শ্বশুর

নিজের প্রাণ দিয়ে পুত্রবধূর সম্ভ্রম রক্ষা করলেন শ্বশুর

নিজের প্রাণ দিয়ে পুত্রবধূর সম্ভ্রম রক্ষা করলেন শ্বশুর। মঙ্গলবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে ওই মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা করে দুই যুবক। তাদের কাজে বাধা দেন শ্বশুর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর সময় অ্যাম্বুল্যান্সের চাকায় পিষ্ট হন ওই প্রৌঢ়। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ট্যাংরার গোবিন্দ ফটক রোডের ঘটনায় হতবাক প্রায় সকলেই। ঘটনার নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিয়েবাড়ি ছিল ভারতের কলকাতার ট্যাংরা ক্রিস্টোফার রোডের এক পরিবারের। পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্বশুর। সঙ্গে ছিলেন মহিলার মামাশ্বশুরও। বিয়েবাড়ি সেরে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায় তাদের। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্স তাদের ধাওয়া করতে শুরু করে। প্রথমে তা বুঝতে পারেননি কেউই। তবে ট্যাংরা গোবিন্দ খটিক রোডে মহিলার পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি। অভিযোগ, সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ছিল দু’জন যুবক। তারা জোর করে মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্সে টেনে তোলার চেষ্টা করে। তাতে বাধা দেন মহিলা। চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তা শুনতে পেয়েই অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে চলে আসেন তাঁর শ্বশুর এবং মামাশ্বশুর। মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয়রাও জড়ো হতে শুরু করেন।

গৃহবধূকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁর শ্বশুর এবং মামাশ্বশুর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত দুই যুবক। অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে চলে আসেন মহিলার শ্বশুর। তাকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তড়িঘড়ি প্রৌঢ়কে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানান, মারা গিয়েছেন ওই প্রৌঢ়।

ঘটনায় ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মহিলার শ্বশুরের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। অভিযুক্তদের আদৌ ওই মহিলা আগে থেকে চিনতেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও মহিলার দাবি, তার সঙ্গে ওই যুবকদের কোনও পরিচয় নেই। তবে আবার দেখতে পেলে চিনতে পারবেন বলেই জানান তিনি। কোনও পুরনো শত্রুতা নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে মহিলার মামাশ্বশুরকেও জেরা করা হবে। এই ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা। মহিলার পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।