Home > বিশেষ সংবাদ > করোনা ভাইরাস নিয়ে যেসব বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তসলিমা নাসরিন!

করোনা ভাইরাস নিয়ে যেসব বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তসলিমা নাসরিন!

যেসব বি’স্ফো’রক তথ্য দিলেন- করোনা ভাই’ রাস এখন চীন থেকে অনেক দেশেই ছড়িয়ে গেছে। ৬০৫৬ মানুষ আ’ক্রা’ন্ত, মা’রা গেছে ১৩২ জন। মৃ ‘ত্যুগুলো সবই চীন দেশে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, নেপাল ভারত এবং বাংলাদেশে ঢুকে যেতে দেরি হবে বলে আমার মনে হয় না।

পশুপাখি থেকে নয়, এই ভাই’রাস এখন মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। ডব্লুএইচও বলছে, ২০০৩-এ সার্স নামে যে ভাই রাস বেরিয়েছিল, সেটিতে মৃ ‘ত্যু হতো শতকরা ৯.৬ জনের, আর এই করোনা ভাই’রাসে মৃ ‘ত্যু হচ্ছে শতকরা ২.৩ জনের। গত বছর আরেক ধরনের করোনা ভাই’রাস আ’ত’ঙ্ক ছড়িয়েছিল, ওই ভাই’রাসের নাম ছিল মেরস, এমইআরএস, মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম। ওই ভাই’রাসের মৃ’ ত্যুহার ছিল ১০০ জনে ৩৫ জন।

এই উহান করোনা ভাই’রাস নিয়ে সম’স্যা হলো, ভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হলেও উপসর্গ দেখা নাও দিতে পারে। জ্বর, সর্দি কাশি নেই, শ্বাসক’ষ্ট নেই, কিন্তু ভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত। করোনা ভাই’রাস পরীক্ষা করার জিনিসপত্র এত বেশি নেই চীনে, সে কারণে পরীক্ষাও যথেষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হলে হয়তো আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যাটা আরও বেশি পাওয়া যেত। কোনো এক গবেষক বললেন, আ’ক্রা’ন্তের যে সংখ্যার কথা চীন জানিয়েছে, ধরে নিতে হবে সত্যিকার আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা তার চেয়ে ৩০ গু’ণ বেশি।

কোনো এক ভাই’রাসের এমন ভ’য়’ঙ্কর আ’ক্র’মণ শুরু হয়ে গেলে আমরা ভ্যাক্সিনের কথা ভাবি। গুটিবসন্ত ৩০ কোটি মানুষের প্রা’ণ হ’র’ণ করেছিল গত শতাব্দীতে। ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পর একে মোটামুটি নি’র্মূ’ল করা গেছে। করোনা ভাই’রাসেরও ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করা জরুরি। কিন্তু যতটা সময় লাগবে এর ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে, ততদিনে কত মানুষকে যে এই ভাই’রাস খাবে, কে জানে। কিছুদিন আগে চীনের নববর্ষ গেল। সেদিন থেকে দিনে প্রায় এক কোটি মাস্ক বানানো হচ্ছে ও দেশে। মুখে মাস্ক পরে বা হাত সেনিটাইজার দিয়ে ধুলে আদৌ ভাই’রাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে কিছু গবেষক মনে করেন না।

মানুষ সীমান্ত মানলেও ভাই’রাস সীমান্ত মানে না। মানুষ চীন দেশ থেকে নিয়ে আসছে এই ভাই’রাস। সু’প্ত অবস্থায় ভাই’রাস রয়ে যাচ্ছে শ’রীরে, পরীক্ষার ফল বলছে ভাই’রাস নেই, কিন্তু ঠিকই আছে, কিছুদিন পর মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। অস্ট্রেলিয়া বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক যারা চীনে ছিল, এখন ফিরে আসছে, তাদের একটা দ্বীপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কোয়ারেন্টাইনের জন্য, অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূমি থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরে। চীনের উহান শহর থেকে কিছু বিদেশিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাদের ভেতরে কি লু’কিয়ে নেই কোনো ভাই’রাস? উহান শহরে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ কোয়ারেন্টাইনের কারণে ঘরব’ন্দি। তারা তাদের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে একে অপরের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে ভেঙে না পড়ার জন্য, মনোবল রাখার জন্য বলছে, গবেষকরা বলছেন, ভাই’রাস তার আ’ক্র’মণের শীর্ষে পৌঁছবে আর ১০ দিন পর, তারপর হয়তো এর ভ’য়াব’হতা কমে যাবে।

ধারণা করা হয়েছে, সামুদ্রিক প্রাণী বিক্রির যে বাজার আছে, সেই বাজার থেকেই ছড়িয়েছে করোনা ভাই’রাস। ওই বাজারে যারা গিয়েছিল, দেখা গেছে, তাদের অনেকেরই জ্বর হলো, নাক দিয়ে জল পড়ল, কাশলো, শ্বাসক’ষ্ট হলো, মৃ’ ত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। একের পর এক থাকায় টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের। অনেকে আমরা চীনেদের এই যা কিছু পাচ্ছে খেয়ে ফেলছে স্বভাবের নি’ন্দে করছি। পশুপাখি থেকে মূলত আসে ভাই’রাস। কোন পশু বা পাখি থেকে আসছে, তা নিশ্চিন্ত হলে আমরা সেই পশু বা পাখি থেকে দূরে থাকতে পারি।

সামুদ্রিক প্রা ণী থেকে এলেও সেই প্রা ণীকে না খেয়ে, সেই প্রা ণীকে নিয়ে ঘাঁ’টাঘাঁ’টি না করে, নিজেদের বাঁচাতে পারি। মুশকিল হয়, যখন ভাই’রাস মিউটেশান হয়ে এমন হয় যে, মানুষ থেকে মানুষে সং’ক্র’মিত হতে থাকে, তখন মৃ ‘ত্যু রো’ধ করা ক’ঠি’ন। করোনা ভাই’রাস শেষ অবধি কত মানুষকে হ ‘ত্যা করবে এখনো কেউ জানে না।

এর মধ্যে এক ইসরায়েলি বায়োলজিক্যাল যু’দ্ধা’স্ত্র গবেষক বলেছেন, হতে পারে চীনের বায়োওয়ারফেয়ার ল্যাব থেকে করোনা ভাই’রাস বাইরে বেরিয়ে গেছে। উহান শহরে আছে চীনের প্রা’ণনা’শী ভাই’রাস গবেষণা কেন্দ্র। ওটির নামই তো ‘উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি’। অনেকে সং’শ’য় প্রকাশ করছে এই কেন্দ্রটির সঙ্গে চীনের বায়োযু’দ্ধা’স্ত্র তৈরি করার যে কারখানা, তার হয়তো স’ম্পর্ক আছে। চীন অবশ্য বায়োযু’দ্ধা’স্ত্র বানানোর অভি’যোগ অ’স্বী’কার করেছে।

চীন যদি সত্যিই যু’দ্ধের অ’স্ত্র হিসেবে প্রা’ণনা’শী ভাই’রাস বানাতে থাকে, এবং গবেষণা কেন্দ্র থেকে যদি ভাই’রাস অজান্তে বেরিয়ে গিয়ে থাকে, এ নিয়ে চীনকে বিশ্বের দরবারে জ’বা’বদিহি করতে হবে। বিশ্বের গবেষকদের চীনে গিয়ে সম’স্যার সমাধান করতে হবে। এভাবে গো’প’নে তুমি নি’ষি’দ্ধ যু’দ্ধা’স্ত্র বানাবে, আর তা ছড়িয়ে গিয়ে নিরীহ মানুষ মা রা পড়বে, তা তো হতে দেওয়া যায় না। মানুষের হাতে মানুষ হ ‘ত্যা করার, মানুষ নামক প্রজাতি নি’র্মূ’ল করার সব রকম অ’স্ত্র আছে। মানুষই বানিয়েছে সব।

মানুষ মানব কল্যাণের জন্য অনেক কিছুই করেছে, অকল্যাণের জন্য কিছু কিন্তু কম করেনি। মস্তিষ্কের ১০ ভাগ মাত্র ব্যবহার করতে পারে মানুষ, এই সংখ্যাটা যদি সত্যি নাও হয়, তারপরও এটা ঠিক যে মস্তিষ্কের পুরোটা ব্যবহার মানুষ করতে পারে না। লুসি নামে ফরাসি পরিচালক লুক বেসো একটি কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন, ওতে দেখিয়েছেন মস্তিষ্কের ১০০ ভাগ ব্যবহার করতে পারলে মানুষ অতীব শ’ক্তিশালী কিছু হতে পারত।

মনে রাখতে পারত জন্মের পর থেকে যা ঘটেছে সব, নালির ভেতরে র’ক্ত চলাচলও টের পেত। আর কী কী হতো, তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। মানুষ তখন কি কল্যাণকর সব কিছু করত, নাকি অক’ল্যাণকর? পারমা’ণবিক অ’স্ত্র যা ধ্বং’স করে দিতে পারে গোটা পৃথিবী, তা মানুষ ইতিমধ্যে বানিয়ে ফেলেছে। গো’পনে বায়োযু’দ্ধা’স্ত্র বানানো চলছে ল্যাবে ল্যাবে। হয়তো মানুষই কেয়ামত আনবে পৃথিবীতে একদিন। যারা মানুষকে বাঁচাতে চায়, তাদের হয়তো কিছু আর করার থাকবে না।

এই যে করোনা ভাই’রাসের কারণে ১৩২ জন লোকের মৃ ‘ত্যু হলো, আরও হয়তো অনেকের মৃ’ ত্যু হবে, চীনকে ক্ষমা করা যায় যদি ভাই’রাস সামুদ্রিক প্রা ণী থেকে আসে। যদি বায়োযু’দ্ধা’স্ত্র তৈরির ল্যাব থেকে আসে, তাহলে ক্ষমা করা উচিত নয়। মানুষকে হ’ ত্যার জন্য অ’স্ত্র বানাবার সব কারখানা অচিরে ব’ন্ধ হোক। শুধু চীনে নয়, পৃথিবীর সর্বত্র কারখানাগুলো এবার ব’ন্ধ হোক। শুভবুদ্ধির জয় হোক, কল্যাণের জয় হোক। অকল্যাণ দূর হোক, বিবেকবর্জিত মানুষের বিবেক ফিরে আসুক। হিং’সের ঘৃ’ণার যু’দ্ধা’স্ত্র তৈরি ব’ন্ধ হোক। পৃথিবী বাঁচুক, মানুষ বেঁচে থাকুক স্নেহে প্রেমে, মমতায় ভালোবাসায়।

লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।