Home > জাতীয় > সারাদেশ > যে দিন থেকে ঢাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে ১৮ ঘণ্টা

যে দিন থেকে ঢাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে ১৮ ঘণ্টা

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হবে ১ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে উপলক্ষে ঢাকায় ১৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব কথা বলা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে বেবি ট্যাক্সি বা অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার (ব্যক্তিগত বাদে), বাস, ট্রাক, টেম্পো।

তবে রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে।

একই সঙ্গে নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

তাছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা ও মহাসড়ক থেকে বের বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা এমন সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে।

প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহায়তায় নিয়োজিত গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। বিদেশ বা দেশের বিভিন্ন স্থানে গমন বা বিদেশ বা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের বিমান/নৌবন্দর বা বাস স্টেশন/টার্মিনালে যাওয়ার জন্য বা বন্দর/স্টেশন থেকে বাসস্থানে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে চলাচলের জন্য নিয়োজিত যানবাহন ক্ষেত্রবিশেষ মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, এসব যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।