Home > আন্তর্জাতিক > এবার ইরানকে ধমকালো রাশিয়া!
Iranian President Hassan Rouhani (R) meets with Russian counterpart Vladimir Putin during the Gas Exporting Countries Forum (GECF) summit in Tehran, on November 23, 2015. Putin arrived in Tehran on his first trip to Iran in eight years, for talks on the devastating conflict in Syria where both countries support the Damascus regime. AFP PHOTO / ATTA KENARE / AFP PHOTO / ATTA KENARE

এবার ইরানকে ধমকালো রাশিয়া!

তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে গত বুধবার ইউক্রেনের যে যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিলো শনিবার তার দায় স্বীকার করেছে ইরান। এরপরই এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, এ ঘটনা থেকে তেহরানের ‘শিক্ষা’ নেয়া উচিত। রুশ সংবাদ মাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়া।

এ সম্পর্কে দেয়া এক বিবৃতিতে রুশ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ বলেন, ‘বিমানের ব্ল্যাক বক্সগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে তদন্তে এটা যদি প্রমাণ হয় যে, ইরানী সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছিল এবং এর কোনও যৌক্তিক কারণ ছিলো না, তবে অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই ঘটনা থেকে ইরান শিক্ষা নেবে এবং এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলা থেকে সবাই বিরত থাকবে।’

গত বুধবার ইরান যখন ইরাকের মার্কিন ঘাঁটি দুটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এর অল্পসময় পরেই তেহরানে বিধ্বস্ত হয় ওই বিমানটি। এতে বিমানের ১৭৬ জন যাত্রীর সবাই প্রাণ হারায়।

শনিবার ইরানের সামরিক দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছিলো ইউক্রেনের সেই বিমানটি। তবে তারা ইচ্ছা করে এতে অঅঘাত করেনি। সেটা ছিলো তাদের ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুল।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিমানটি ইরানের রেভুলেশনারি গার্ডের অন্তর্গত একটি সংবেদনশীল সাইটের কাছে চলে আসার পরই এতে আঘাত করা হয়।ইরানের ভাষায় এটি ছিলো একটি ‘মানবিক ত্রুটি’। তারা এ ঘটনার দায় নিতে রাজি আছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

তবে এর আগে তারা বারবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে দাবি করেছিলো তেহরান। কিন্তু মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান ধ্বংস হওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরই নিজেদের আগের দাবি থেকে সরে আসে ইরান।

এরপরই রুশ নেতার এই বিবৃতি প্রকাশিত হলো। তবে ইরানের এই স্বীকারোক্তি নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা অন্য কোনো পশ্চিমা নেতা।