Home > আন্তর্জাতিক > আগে প্রতিশোধ, পরে আলোচনা করবে ইরান

আগে প্রতিশোধ, পরে আলোচনা করবে ইরান

সামরিক উপায়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেবে ইরান। রোববার (০৫ জানুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সামরিক উপদেষ্টা হোসাইন দেহঘান এ ঘোষণা দেন। এদিকে, তেহরানকে কঠোর জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এরমধ্যেই ২০১৫ সালে স্বাক্ষর করা ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রুহানি প্রশাসন। শোক আর মস্তক অবনত শ্রদ্ধায় জাতীয় বীরকে স্মরণ করছেন ইরানিরা। শুক্রবার ভোরে ইরাকে মার্কিন হমালায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকেই শোকেস্তব্ধ পুরো জাতি। রোববার তার মরদেহ দেশে আসার পর তার কফিন ঘিরে ঢল নামে লাখ লাখ মানুষের।

ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে সোলাইমানির ভূমিকা অপরিসীম। তাই শুরু থেকেই তাকে টার্গেটে রাখে প্রতিপক্ষ। বার কয়েক হাতে পেয়েও সুবিধাজনক সময়ের অপেক্ষায় ছিল মার্কিন মিত্ররা। সোলামানিকে হত্যা কোরে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করলেও ইরানের প্রতিশোধের আশঙ্কায় তঠস্থ তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ইরানের যে কোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। এখনো তীব্র ঝুঁকি রয়েছে। ঝুঁকি নিরসন করে মার্কিনদের রক্ষা করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনবছর আগেই মাকির্ন নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অস্থিতিশীলতা তৈরিকারী কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়টিও তখন থেকেই সেখানে ছিল।

ট্রাম্প জানান, ইরানের ৫২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার জন্য প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এমন হুমকি দেয়ায় ট্রাম্পকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন ইরানের তথ্য ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। সবধরনের পরিস্থিতির জন্য ইরান প্রস্তুত। প্রতিশোধের পরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদষ্টো জানান, সামরিক উপায়েই প্রতিশোধ নেবে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল হোসাইন দেহঘান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নেবো। আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ যেহেতু তারা শুরু করেছে। তাদেরকে তাদের কাজের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

বাগদাদে সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিবাদে ইরাক থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। মার্কিন সেনা ও কর্মকর্তাদের, কফিনে ভরে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান। এদিকে, সোলাইমানি হত্যার প্রতিবাদে, তুরস্কে, লেবানন পাকিস্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে।