Home > আন্তর্জাতিক > সোলেইমানির জানাজার পরপরই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো মার্কিন দূতাবাস
Security forces fire tear gas and close the bridge leading to the Green Zone during a demonstration in Baghdad, Iraq, Wednesday, Oct. 30, 2019. Anti-government protests in Iraq gained momentum Wednesday with tens of thousands of people gathered in a central square in Baghdad and across much of the country's Shiite-majority central southern provinces. (AP Photo/Hadi Mizban)

সোলেইমানির জানাজার পরপরই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো মার্কিন দূতাবাস

মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজার বিশাল মিছিলের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ কেঁপে ওঠে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এমন একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইরাকের রাজধানীর উত্তরাংশের বালাদ বিমানবন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়, যেখানে মার্কিন বাহিনীর বাস। তবে ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।

ইরানের নেতারা কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরানে দাফনের জন্যে নিয়ে যাবার আগে শনিবার কাসেম সোলেইমানির শবযাত্রা নিয়ে ইরাকের শিয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে বিশাল মিছিল করা হয়।

মার্কিন হামলায় সোলেইমানির সাথে নিহত কাতাইব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহানদিসের জন্যেও শোক প্রকাশ করেন ইরাকিরা। ইরানের সমর্থনপুষ্ট এই দলটি ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে আল-মায়াদিন টেলিভিশন।

ইরানের প্রতিশোধের হুমকির জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে আরো ৩০০০ অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীদের ইরাক ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

নতুন হামলার ধরণ কেমন?

ইরাকের নিরাপত্তা সূত্র জানাচ্ছে, অন্তত একটি রকেট কিংবা মর্টারের গোলা গ্রিন জোনের সেলিব্রেশন স্কয়ারে আছড়ে পড়েছে এবং অপর একটি শহরের জাদরিয়া অঞ্চলে বিস্ফোরিত হয়েছে।

এদিকে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে যে, বালাদ বিমান ঘাঁটিতে দুটি রকেট আঘাত করার পর তার কোথা থেকে ছোড়া হয়েছে জানার জন্যে নজরদারি সক্ষম ড্রোন প্রেরণ করা হয়।

কোনো গোষ্ঠীই এই হামলার দায় অবশ্য স্বীকার করেনি। তবে ইরান পন্থী মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে এই মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্যে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ইরাকে কিভাবে শোক পালন করা হচ্ছে?

বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেয়া মানুষজন কফিনের পেছনে হেঁটে আল মুথানা বিমানবন্দর থেকে গ্রিন জোনের প্রবেশ ফটক পর্যন্ত আসে। তারা ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে এবং শ্লোগান দেয়, ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’।

শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। পরে মিছিলটি পবিত্র শহর কারবালা ও নাজাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা।

তবে এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে গণতন্ত্রপন্থীদের বিরুদ্ধে সোলেইমানির সহিংসতার অভিযোগ এনে কিছু ইরাকিকে বাগদাদের রাস্তায় উল্লাস করতেও দেখা গেছে।