Home > আন্তর্জাতিক > ইরানের টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের ৩৫ স্থাপনা

ইরানের টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের ৩৫ স্থাপনা

জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ ৩৫টি স্থাপনা টার্গেটে রেখেছে ইরান। আইআরজিসির জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার এ কথা জানিয়েছেন। জানা যায়, আইআরজিসি কমান্ডার ঘোলামালি আবু হামজেহ বলেছেন, ওই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান টার্গেটগুলো অনেক আগেই ইরান চিহ্নিত করে রেখেছে। তবে কোনো বিশেষ টার্গেটের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫টি স্থাপনা, এমনকি তেল আবিব (ইসরাইলের) আমাদের হামলার আওতায়।’

কমান্ডার ঘোলামালি আবু হামজেহ ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশের আইআরজিসি কমান্ডার। কেরমান সোলাইমানির জন্মভূমি। এর আগে মার্কিন হামলায় জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধের ইঙ্গিত জানিয়ে মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধপতাকা’ উড়িয়েছে ইরান। শনিবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের কম প্রদেশের পবিত্র মসজিদ জামকারান’র সর্ব্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ায় ইরান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইরান জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ালো। এই পতাকা ওড়ানোকে সোলেমানি হত্যার দায়ে আমেরিকার ওপর ইরানের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত নাম মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি ছিলেন বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্সের প্রধান। বলা হচ্ছে, দেশের বাইরে ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় সোলাইমানি ছিলেন মূল ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণেও তার ভূমিকা ছিল। গত দুই দশক ধরে ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননের মতো দেশে শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে তিনিই ছিলেন প্রধান রূপকার। এর মোকাবিলায় তেহরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বেগ পেতে হয়েছে। ফলে বহুদিন ধরেই তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ‘টার্গেট’।