Home > জাতীয় > সারাদেশ > পিঠা বিক্রির কিছু টাকা বাড়িতে পাঠাই আর পড়ালেখার খরচ চালাই

পিঠা বিক্রির কিছু টাকা বাড়িতে পাঠাই আর পড়ালেখার খরচ চালাই

অনেকের জন্য ক’ষ্টের হলেও উত্তর জনপদের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু শৈত্য প্রবাহ আশীর্বাদ হয়ে আসে মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীদের জন্য। শীতে পথে ঘাটে পিঠা বিক্রির টাকায় চলে সারা বছরের লেখাপড়ার খরচ। আবার কারো কারো স্বপ্ন গরিব বাবার হাতে তুলে দেবেন সংসার খরচের টাকা।

ছামিউল, বাবু আর হাবীব। পিঠা বিক্রি করে দু’পয়সা রোজগারের জন্য কুড়িগ্রামের রৌমা’রী থেকে রংপুরে আসা। দিনভর আটা, নারিকেল আর গুড় ভেঙে ওদের কোমল হাতে প্রস্তুত হয় শীতের অন্যতম অনুসঙ্গ ভাপা পিঠার উপকরণ। হাড়কাঁপা এ শীতে মানুষের মুখে ভাপা পিঠার স্বাদের বিনিময়ে দু’পয়সা রোজগারের জন্য সূর্য ডোবার আগেই বেরিয়ে পড়ে হাবীব ও তার বন্ধুরা।

পিঠা বিক্রি করতে আসা একজন বলেন, বাবা-মা অর্থের অভাবে পড়ালেখা করাতে পারে না। এখান থেকে কিছু টাকা আয় করতে পারলে বাড়িতে বাবা-মা’র কাছে পাঠায়। কিছু রেখে দেই, তা দিয়ে এক বছর পড়ালেখার খরচ চালাই।

জীবিকার তাগিদে গ্রাম ছেড়ে নগর সভ্যতায় মানিয়ে নেয়া চাকরিজীবী আর পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ মানুষগুলোই পিঠার স্বাদ নিতে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় জমায় তরুণদের ভাসমান এসব পিঠার দোকানে। ১০ টাকার বিনিময়ে মা-চাচিদের হাতের তৈরি ভাপা পিঠার সেই স্বাদ খুঁজে নেন ভোক্তারা।

পিঠা খেতে আসা একজন বলেন, শীতের শুরুতে চিতই পিঠা, ভাবা পিঠার পসরা নিয়ে বসে। নাগরিক জীবনে এসব বাসা-বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া হয় না। তাই এখান থেকেই কিনে খাই।

বিক্রি করা পিঠার টাকায় স্বপ্নের মতো করে ভবিষ্যৎ সাজাতে খেলাধুলার বয়সে দুঃখের পাহাড় জয়ের স্বপ্ন দেখছে এ শি’শুরা অক্টোবর থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত পিঠা বিক্রির টাকা নিয়ে আলোকিত আগামী গড়ার প্রত্যয়ে বাড়ি ফিরবে ওরা।

মধ্যরাতে শীতার্তদের কম্বল দিচ্ছেন ইউএনও আছিয়া

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে মধ্যরাতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের কম্বল দিচ্ছেন বোয়ালখালী উপজে’লার নির্বাহী কর্মক’র্তা আছিয়া খাতুন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে আমুচিয়া, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের শীতার্তদের কম্বল বিতরণ করেন তিনি। শীতার্তদের উদ্দশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের জন্য কম্বল পাঠিয়েছেন। এটি তার পক্ষ থেকে উপহার।

এ সময় আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল দে, ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক রাজু দে, দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, ছাত্রলীগ নেতা ইউনুচ আজম খোকন, পিআইও অফিস সহকারী মো. নুরুন্নবী, মনছুর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে ইউএনও আছিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, এবার বোয়ালখালীর জন্য ৪ হাজার ৬০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জে’লা প্রশাসন থেকে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যদের মাধ্যমে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছি। এ ছাড়া দিনের বেলা অফিস শেষ করে রাতে সুবিধামতো সময়ে প্রকৃত শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি।

সরকারের পক্ষ থেকে শীতার্তদের ক’ষ্ট নিবারণে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরাও যদি এগিয়ে আসেন তবে কেউ আর শীতে ক’ষ্ট পাবেন না।