দুই ভিন্ন ধর্মের তরফে ভিন্ন সুরে প্র’তিবা’দ উঠল নাগরিক আইনের বি’রু’দ্ধে। শুক্রবার মুম্মাইয়ের আর্চবিশপ কার্ডিনাল অসওয়াল্ড গ্রেশিয়াস তার ক্রিসমাস সপ্তাহের শুভেচ্ছা বিবৃতিতে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।
গ্রেশিয়াস বলেছেন, ‘পিছিয়ে আসার মধ্যে কোনও কষ্ট নেই।’ ধর্মীয় মে’রুক’রণের দ্বারা মানুষের মধ্যে বি’ভা’জন সৃষ্টির জন্য ভারত সরকারকে স’ত’র্কও করেছেন তিনি।
মানুষকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়ে উদ্বিগ্ন গ্রেশিয়াসের মন্তব্য, ‘নাগরিক আইন নিয়ে সাম্প্রতিক বি’ত’র্ক, বি’ক্ষো’ভ সারা দেশের নাগরিকদের উদ্বে’গের ফল এবং এটা দেশের ক্ষ’তি করছে। ধর্ম দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। মতাদর্শের ভা’গাভা’গি হলে হিং’সাও সমাধান হয় না।’
তার পরামর্শ, ‘পিছিয়ে আসার মধ্যে কোনও ক’ষ্ট বা গ্লা’নি নেই, যদি সেই বদল দেশের এবং দেশবাসীর ভালোর জন্য হয়।’ দেশের বর্তমান অ’স্থি’র প’রি’স্থি’তি শা’ন্ত করতে কেন্দ্র এবং বি’ক্ষো’ভকারীদের আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র খোঁজা উচিত বলেও মনে করছেন আর্চবিশপ।
অন্যদিকে, শুক্রবারই দিল্লির জামা মসজিদে নামাজের পর জেএমআইইউ-র ছাত্রছাত্রীরা স্লোগান তুললেন, তারা কবরে যেতেও রাজি, কিন্তু ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে যাবেন না।
শুক্রবার জামা মসজিদের সামনে সিএএ-এনআরসি-র বি’রু’দ্ধে বিক্ষো’ভ সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল। জেএমআইইউ-র ছাত্রছাত্রীরা, তৃণমূল নেতানেত্রীরা ছাড়াও সেখানে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লি বিধানসভার সাবেক স্পিকার শোয়েব ইকবাল এবং সাবেক বিধায়ক অলকা লাম্বা।
পোশাক দেখে বিক্ষো’ভকারীদের চেনা নিয়ে করা মোদির উক্তির প্র’তিক্রি’য়ায় বিন্দি খুলে, মাথায় হিজাব পরে অলকা লাম্বার প্রশ্ন, ‘আমাদের পোশাক দেখে চিনুন তো আমরা কে?’