Home > অর্থনীতি > আবার উল্টোপথ ধরেছে পেঁয়াজ !

আবার উল্টোপথ ধরেছে পেঁয়াজ !

গত সপ্তাহে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বাভাবিক চড়া দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এখন আবার উল্টোপথ ধরেছে পেঁয়াজ। রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা ছোট পেঁয়াজের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং বড় পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১০০-১২০ টাকা ও ৬০-৭০ টাকা। দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি এখন ১১০-১২০ টাকা চলছে। নতুন পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকায় পাওয়া গেছে। পেঁয়াজের দামবৃদ্ধির বিষয়ে উত্তর পীরেরবাগ বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কোনোভাবেই স্থির হচ্ছে না। মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দাম কমে আসবে এমন আশায় ছিলেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কিন্তু এখন সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। মানভেদে কেজিতে ১০-২০ টাকা বাড়ছে।’

কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত না বাড়লে বাজারে দাম স্থিতিশীল হবে না। আমদানি করা পেঁয়াজ সবসময় বাজার অস্থির করে রাখে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে এখন দেশি পেঁয়াজ কিছুটা কম আসছে। এই সুযোগে আমদানি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে দেশি পেঁয়াজ কম থাকায় তার দামও বেড়ে যাচ্ছে। তবে পেঁয়াজের চড়া দাম আর স্থায়ী হবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দ্রুত দাম আবার কমে আসবে।’ এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নতুন করে খোলা পাম ও সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩-৪ টাকা বেড়েছে। এখন খোলা সয়াবিন ৮৬-৯০ টাকা ও পাম তেল ৭৫-৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ‘অন্য বছরগুলোতে শীতের সময়ে পাম তেলের দাম কমে এবং কেজিতে দু’এক টাকা সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। এবার সব উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছে। এর আগে একদফা সব ধরনের তেলের দাম বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে খোলা পাম ও সয়াবিনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। বোতলজাত সয়াবিনের দাম আরও বাড়ানো হবে।’

রাজধানীর বাজারে শীতের শাকসবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়েছে। এতে আগের সপ্তাহে দাম কমলেও এখন তীব্র শীতের কারণে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারে এখন শিমের কেজি ৩০-৪০ টাকায় নেমেছে; যা আগের সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা ছিল। তবে এখন চড়া দাম পাকা টমেটোর। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি টমেটো ৬০-৮০ টাকা ও আমদানি টমেটো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা টমেটোর কেজি ৩৫-৪০ টাকা। গাজরের কেজি ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। নতুন গোল আলু ও শালগম ৩০-৪০ টাকা এবং মুলার ২০-৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে বরবটির কেজি এখনও ৬০-৭০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০-৪০ টাকা। বেগুন ও করলা ৪০-৫০ টাকা কেজি।