Home > অন্যান্য > হজরত উসমান (রা.)-র সময়ের কুরআন এখন বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে

হজরত উসমান (রা.)-র সময়ের কুরআন এখন বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে

জাতীয় জাদুঘরে মূল্যবান নিদর্শনের তালিকায় যোগ হয়েছে হ’জরত উসমান (রা.)-র সময়ের হাতে লেখা পবিত্র কোরআন ‘মাসহাফে উসমানি’র একটি ছায়ালিপি। উসমানি আমলের এই কোরআন শরিফ এত দিন সংরক্ষণ করা হয়েছিল ইস’লামিক ফাউন্ডেশনে।
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন শরিফটি ইস’লামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় জাদুঘরকে দেওয়া হয়। এখন এটি জাতীয় জাদুঘরে করিডরে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
জাদুঘরের সূত্র জানায়, হ’জরত উসমানি আমলে চামড়ায় হাতে লেখা পবিত্র কোরআনের এই ছায়ালিপি। বিশ্বে এ ধরনের কোরআন শরিফের পাঁচটি কপি রয়েছে।
কুরআনটির দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি। প্রস্থ ১ ফুট। উচ্চতা ৩ ইঞ্চি। ওজন সাড়ে ৭ কেজি। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৭২।
উল্লেখ্য যে, ইস’লামের তৃতীয় খলিফা হ’জরত উসমান (রা.)-এর শাসনামলে বহু দূর-দূরান্তে ইস’লামের দাওয়াত পৌঁছে গিয়েছিল। লোকেরা দলে দলে ইস’লাম ধ’র্মগ্রহণ করেই কুরআনের শিক্ষা ও চর্চায় তৎপর হয়ে পড়েন।
কিন্তু অধিকাংশ নওমু’সলিম ছিল অনারবী। তারা কুরআন সুস্পষ্টভাবে তেলাওয়াত করতে পারত না এবং অনেক আরবীও নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন তিলাওয়াত করত; অথচ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে ম’ক্কার কুরাইশি ভাষায়। উসমান (রা.) দেখলেন, বিভিন্ন ভাষার কুরআন পড়ার দরুন উম্মাতের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তিনি সাহাবীদের পরাম’র্শক্রমে সব পাণ্ডুলিপি একত্রিত করে কুরাইশি লুগাতের (ভাষা) পাণ্ডুলিপি ছাড়া বাদবাকি পাণ্ডুলিপি নিষিদ্ধ করেন এবং প্রচলিত ‘মাসহাফে উম’ থেকে কপি করে বড় বড় মু’সলিম শহরে পৌঁছে দেন।
এ জন্য উসমান (রা.)-কে জামিউল কুরআন (কুরআন একত্রকারী) বলা হয়। এই নতুন সংকলনের নামকরণ করা হয়— ‘মাসহাফে উসমানি।’