Home > ধর্ম > ৪০ বছর ধরে নিয়মিত ম’সজিদে আজান দিচ্ছেন অন্ধ ব্যক্তি

৪০ বছর ধরে নিয়মিত ম’সজিদে আজান দিচ্ছেন অন্ধ ব্যক্তি

৮০ বছরের বৃদ্ধ। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ম’সজিদে আজান দেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে পায়ে হেটে ম’সজিদে গিয়ে আজান দেয়াকে জীবনের ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভাজানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের এক ম’সজিদের মুয়াজ্জিন তিনি। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি ম’সজিদে আজাদ দেয়া থেকে বিরত থাকতে চান না। নিজ বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরের একটি ম’সজিদে তিনি আজান দিয়ে থাকেন। এ অন্ধ মুয়াজ্জিনের দীর্ঘ ৪০ বছরের দায়িত্ব পালনকালে কোনো দিন তার আজান ও নামাজের জামাআত মিস হয়নি।হাতের লা’ঠিতে ভর করেই তিনি সময়মতো ম’সজিদে উপস্থিত হন। বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরত্বের এ ম’সজিদে আজান দেয়ার দায়িত্ব পালন স’ম্পর্কে এ অন্ধ মুয়াজ্জিন জানান-
‘আমি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে গোনাহ মাফ, ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাত লাভের জন্যই প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ম’সজিদে আসি, আজান দেই এবং নামাজ শেষে পায়ে হেঁটেই বাড়ি যাই।’ আল্লাহ তাআলা এ অন্ধ মুয়াজ্জিনকে তার প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করে নিন। তার নিয়মিত ম’সজিদে আসা-যাওয়ার এ মহান উদ্দেশ্য প্রত্যেক মুমিন-মু’সলমানের হৃদয়ে তৈরি করে দিন। আমিন।

ছেলেকে দা’ফন করে হাসপাতালে মেয়ের পাশে তারা
গত কয়েকদিনে রাজধানীতে মহামা’রির রূপ নিয়েছে ডে’ঙ্গু। ছোট শি’শু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই আ’ক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। সবার মধ্যে আতঙ্ক ডে’ঙ্গু নিয়ে।

ইতিপূর্বে দেশে বিভিন্ন সময় ডে’ঙ্গু রো’গ দেখা গেলেও এবারের মতো ভয়াবহ ছিল না। এবার যেমন আ’ক্রান্তে’র সংখ্যা বাড়ছে তেমনি মৃ’ত্যু’র সংখ্যাও বাড়ছে। এবার সে খাতায় নাম লিখিয়েছেন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মো. রাইয়ান সরকার।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যায় সে। রাইয়ান মোহাম্ম’দপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। রাইয়ানরা এক ভাই ও এক বোন ছিলেন বলেও জানান তার স্বজনরা।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মেয়ের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে বাবা মমিন সরকার বলছিলেন, ‘ডে’ঙ্গু’তে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে ছেলে রাইয়ান সরকারের (১১) লা’শ যখন আমা’র কাঁধে তখন মেয়ে মালিহা সরকার (৬) মৃ’ত্যু’র সঙ্গে ল’ড়াই করছে হাসপাতালে। এই পরিবেশ সহ্য করা কঠিন। আমি ভাবতেই পারিনি, এমনটা ঘটবে আমা’র সঙ্গে।’

একমাত্র ছেলের জন্য শোক করার ফুসরত পাননি রাইয়ানের বাবা মমিন সরকার ও মা জান্নাত আরা জাহান। কেননা ডে’ঙ্গু’তেই আ’ক্রা’ন্ত ৬ বছর বয়সী মেয়ে মালিহা বিনতে সরকার হাসপাতালে ভর্তি। ছেলের বেলাতেও তো চিকিৎসকেরা বলেছিলেন-ছেলের অবস্থা ভালোর দিকে। কিন্তু ছেলেকে বাঁ’চানো গেল না। এখন মেয়ের অবস্থা চিকিৎসকেরা যাই বলেন না কেন, তা বিশ্বা’স করতে পারছেন না এই বাবা-মা।

এই বাবা আজ মুঠোফোনে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেয়ে ১১ তলায় কেবিনে ভর্তি। আর ছেলে ছিল ৭ তলায় এনআইসিইউতে। মেয়ে তার ভাইকে দেখে এসেছিল। এখনো জানে তার ভাইয়া ৭ তলায় আছে।
তাই একটু পরপর বলে, চলো, ভাইয়াকে দেখে আসি। আম’রা ছেলের জন্য শোক করব কেমনে? আমাদের মেয়ে তো জানেই না তার ভাইয়া আর নেই। আম’রাও তো বিশ্বা’স করতে পারছি না সামান্য জ্বরে আমাদের ছেলেটা নাই হয়ে গেল।’
এসি আই কনজ্যুমা’র ব্র্যান্ডের জোনাল সেলস ম্যানেজার হিসেবে কর্ম’রত মমিন সরকার জানালেন, তাঁরা প্রতিটি মুহূর্ত কা’টাচ্ছেন আতঙ্কের মধ্যে। মেয়েকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরার আশায় হাসপাতালে দিন কা’টাচ্ছেন রাইয়ানের বাবা-মা।