Home > অন্যান্য > সকাল বেলা উঠার আগে ৫ মিনিট স্ত্রী’কে জড়িয়ে ধরে থাকার উপকারিতা

সকাল বেলা উঠার আগে ৫ মিনিট স্ত্রী’কে জড়িয়ে ধরে থাকার উপকারিতা

১. যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী’কে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২.বৌয়েরা ঘরের লক্ষ্মী হয়। এদেরকে যত বেশি ভালোবাসা দেওয়া হয়, তত বেশি সংসারে শান্তি আসে।— হুমায়ুন আহমেদ।৩. স্ত্রী’কে যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বা’স করুন। সংসার আর যু’দ্ধক্ষেত্র মনে হবে না। — সুনীল গঙ্গপাধ্যায়।

৪. সেই পুরুষই কাপুরুষ যে স্ত্রী’র কাছে প্রেমিক হতে পারেনি।— কাজী নজরুল ইস’লাম। ৫.প্রতিদিন একবার স্ত্রী’কে ” আমি তোমাকে ভালোবাসি ” বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।— সত্যজিৎ রায়।

৬• স্ত্রী’কে সপ্তাহে একদিন ফুচকা খাওয়াতে এবং মাসে একদিন ঘুরতে নিয়ে গেলে স্বামীর শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।— সম’রেশ মজুম’দার।

৭• অন্য নারীর সাথে পরকী’য়া করার চেয়ে স্ত্রী’কে একবেলা পে’টানো ভালো। তবে পে’টানোর পরে তিনগুণ বেশি ভালোবাসা আবশ্যক। — জহির রায়হান। ৮• মন ভালো রাখতে বৌকে ফেসবুক, ফোনবুক, নোটবুক সহ সব ধরণের একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। — মা’র্ক জুকারবার্গ।

৯• মেয়েদের মনে ভালোবাসা এবং অ’ভিমান দুটোই থাকে বেশি। তাই অ’ভিমানটাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় করে দেখা যাবে না। তাই স্বামীদের উচিৎ স্ত্রী’র সব অ’ভিমান ভালোবেসে ভাঙানো! — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১০• একটা শি’শুকে দুনিয়ার মুখ দেখাতে মা যে ক’ষ্ট সহ্য করে তা বাবা সারাজীবন ভালোবেসেও শোধ করতে পারে না। তাই প্রত্যেকটা স্বামীর উচিৎ তাঁর সন্তানের মাকে কোনোরকম ক’ষ্ট না দেয়া। — জীবনানন্দ দাশ।

১১• যু’দ্ধে বিজয়ী হলেই বিপ্লবী হওয়া যায় না৷ প্রকৃত বিপ্লবী তো সেই যে স্ত্রী’র মনের একমাত্র বীরপুরুষ। — চে গুয়েভারা। ১২• স্ত্রী’র সাথে হাসি ঠাট্টা মজা করা স্বামীর কর্তব্য। — হযরত মোহাম্ম’দ (সঃ)

স্বামী-স্ত্রী’ স’ম্পর্কে মহানবী (সাঃ) এর বানীঃ

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আম’র (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ গোটা দুনিয়াই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হলো পূর্ণবতী স্ত্রী’। (মু’সলিম)

হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) বলেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সবচাইতে উত্তম, ঈ’মাদের দৃষ্টিতে সে-ই পূর্ণাঙ্গ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেই সব লোক উত্তম, যারা তাদের স্ত্রী’দের কাছে উত্তম। তিরমিযী)

হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) এর বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ কোন স্ত্রী’ লোক যদি এমন অবস্থায় মা’রা যায় যে, তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিরমিযী)

হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) এর বর্ণনা মনে, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অ’পর কোন ব্যক্তির সামনে সিজদা করার জন্য নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রী’কে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য। (তিরমিযী)

হযরম মু’য়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) এর বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ যখনই কোন নারী তার স্বামীকে দুনিয়াতে ক’ষ্ট দিতে থাকে, তখনই (জান্নাতের) আয়াতলোচনা হুরদের মধ্যে তার সম্ভাব্য স্ত্রী’ বলেঃ (হে অভাগিনী!) তুমি তাকে ক’ষ্ট দিওনা। আল্লাহ তোমায় ধ্বংস করুক ! তিনি তোমা’র কাছে একজন মেহমান। অচিরেই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবেন। (তিরমিযী)

হযরত উসামা ইবনে যায়েদ বর্ণনা করেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ আমা’র অনুপস্থিতে আমি পুরুষদের জন্য মেয়েদের চাইতে বেশী ক্ষতিকর ফিতনা (বিপর্যয়) আর রেখে যাইনি। (বুখারী ও মু’সলিম)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ কোনো ব্যক্তি যদি তার বিছানায় স্বীয় স্ত্রী’কে ডাকে; কিন্তু স্ত্রী’ তাতে সাড়া না দেয়ায় স্বামী তার উপর অসস্তুষ্ট হয়ে রাত কা’টায়, তাহলে ফেরেশতারা ভোর পর্যন্ত তার প্রতি অ’ভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে । (বুখারী ও মু’সলিম)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, স্বামী বাড়ীতে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রী’র পক্ষে (নফল) রোযা রাখা বৈধ নয় । তার অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তিকে তার ঘরে ঢোকার অনুমতি দেয়াও তার (স্ত্রী’র) জন্য বৈধ নয়। (বুখারী ও মু’সলিম)