Home > অন্যান্য > পাঁচ ভাইয়ের এক বউ; অতঃপর

পাঁচ ভাইয়ের এক বউ; অতঃপর

ভারতের দেরাদুন। এখানে ঘটেছে এক অবাক কাণ্ড। পাঁচ ভাইয়ের এক বউ। ভাগাভাগি করে সেই পাঁচ ভাই বউয়ের সঙ্গ ভোগ করে। ফলে ‘এ কালের দ্রৌপদী’ রাজো বর্মা (২১) নামের ওই গৃহবধূর বলার ক্ষমতা নেই তার সন্তানদের কোন জনের পিতা কে।

‘মহাভারত’-এর নায়িকা দ্রৌপদীর স্বামী ছিলেন পাঁচ ভাই, যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব- আর রাজো’র ৫ স্বামী হলেন- গুড্ডু (২১), বাজ্জু (৩২), শান্তরাম (২৮), গোপাল (২৬) ও দীনেশ (১৮)। বেচারি রাজো বর্মাকে নিয়ে ৫ ভাই মাঝেমধ্যেই কাড়াকাড়ি করেন।

কিন্তু তাদের মধ্যেই সমঝোতা হয়- রাজো ওই রাতে কার সঙ্গে রাত্রিবাস করবেন। রাজো বর্মা বলেছেন, তাই পর্যায়ক্রমে স্বামীদের মন রাখতে হয় তার। পর্যায়ক্রমে এক এক রাতে এক এক স্বামীর সঙ্গে রাত্রিবাস করেন তিনি। এ জন্য তিনি যে সন্তানের মা হয়েছেন তারা কোন স্বামীর সন্তান তা তার পক্ষে বলা অসম্ভব। গতকাল এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য সান। এতে বলা হয়- এখন থেকে ৪ বছর আগে হিন্দু রীতিতে রাজো-গুড্ডুর বিয়ে হয়। কিন্তু ওই গ্রামের রীতি অনুযায়ী, গুড্ডুর অন্য ভাই বাজ্জু, শান্তরাম, গোপাল ও দীনেশকে তার স্বামী হিসেবে মেনে নিতে হয়।

এর মধ্যে গত বছর দীনেশ বিয়ের বয়সে উত্তীর্ণ হন। তাই গত বছর তার আপন ভাইয়ের স্ত্রী রাজো বর্মার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ভাইদের মধ্যে সবার বড় বাজ্জু। তিনি স্ত্রী ভাগাভাগির বিষয়ে বলেন, আমার অন্য ভাইয়েরা যেভাবে রাজো বর্মাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করে আমিও একই ভাবে তাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করি। তার সঙ্গে রাত্রিযাপন করি। ওদিকে স্বামীরা যখন দিনের আলোতে কাজে বেরিয়ে যান তখন রাজো বর্মা রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাড়িঘর পরিষ্কার করেন। ১৮ মাস বয়সী সন্তান জে’কে দেখাশোনা করেন।

এই সন্তানটি রাজো বর্মার ৫ স্বামীরই আদর পায়। সবাই মনে করেন জে তার সন্তান। তার ঔরসে জন্মেছে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তা যে কোনভাবেই জানা সম্ভব নয় তা তারা জানে না। স্বাভাবিকভাবেই রাজো বর্মাও এ বিষয়ে অন্ধকারে। কারণ, কোন স্বামীর সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হওয়ার পর তিনি জে’র মা হয়েছেন তা তিনি কোনভাবেই জানেন না। জানা সম্ভবও নয় তার পক্ষে। রাজো বর্মা বলেন, আমার মারও বিয়ে হয়েছিল একই রকমভাবে। তার ছিল ৩ স্বামী। তারা ৩ জনেই ছিলেন আপন ভাই। কিন্তু গুড্ডুর সঙ্গে আমার বিয়ের পর জানতে পারলাম তার অন্য ভাইদেরও আমাকে বিয়ে করতে হবে।