surjodigonto.com largest bangle news portal
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য একটি জন্মনিবন্ধন সনদ থাকার পর নতুন করে আরেকটি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য ইসিকে চিঠি দিয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।একই ব্যক্তির দুটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলে যে নিবন্ধনের রেজিস্ট্রেশন তারিখ পূর্বের, সেটি বহাল রাখা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।
সম্প্রতি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান তিন ধরনের সুপারিশসহ ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীরকে পাঠানো চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনআইডি সংশোধনের আবেদন যাচাই করতে গেলে দেখ যায় ভোটার হয়েছেন একটি জন্ম সনদ দিয়ে কিন্তু সংশোধনের জন্য অন্য আরেকটি জন্ম সনদ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অনলাইনে জন্ম সনদ যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দুটি জন্মসদন অনলাইনে রয়েছে। এই অবস্থায় কোন জন্ম সনদ আমরা আমলে নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ( এনআইডি) সংশোধনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি তা নির্ধারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মতামত চাওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই সুপারিশ করেছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের লক্ষ্যে ব্যক্তির একাধিক জন্ম সনদ থাকায় কোন জন্ম সনদটি যথার্থ সে মর্মে প্রত্যয়ন প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। ব্যক্তির একাধিক জন্ম সনদ বিদ্যমান থাকলে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হল।
১) একই ব্যক্তির যদি একাধিক জন্ম সদন অনলাইনে বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই ব্যক্তিকে একটি জন্ম সনদ বাতলি করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। অনলাইনে দু’টি জন্ম নিবন্ধন থাকা অবস্থায় ওই জন্ম নিবন্ধনের ওপর ভিত্তি করে এনআইডি প্রদান করা যাবে না।
২) একই ব্যক্তির যদি দু’টি জন্ম সনদ থাকে (একটি অনলাইন এবং অন্যটি ম্যানুয়াল), তাহলে যেটি অনলাইনে অর্থাৎ BDRIS সফটওয়্যারে বিদ্যমান জন্ম সনদ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
৩) একই ব্যক্তির দুটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলে যে নিবন্ধনের রেজিস্ট্রেশন তারিখ পূর্বের, সেটি বহাল রাখা হয়।
এনআইডি অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো নাগরিকের এনআইডির তথ্য পরিবর্তন করতে হলে আমরা প্রথম এসএসসি বা সমমানের সনদ বা তার ঊর্ধ্বের কোনো সনদকে আমলে নিয়ে তা সংশোধন করে দেয়।এক্ষেত্রে কারো এসব সনদ না থাকলে অষ্টম শ্রেণী, পঞ্চম শ্রেণীর সনদের পাশপাশি জন্ম সনদকে আমলে নিয়ে হয় এনআইডি সংশোধন করা হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই হলফনামা দিয়ে মাধ্যমিক পাশ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়ে এবং নতুন করে জন্ম সনদ দাখিল করে এনআইডি তথ্য সংশোধন করে নেন। তবে এখন থেকে ভোটার হওয়ার পূর্বের জন্ম সনদ ব্যতিত নতুন করে জন্ম সনদ তৈরি করে তার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আর সুযোগ পাবে না। এক্ষেত্রে যে জন্ম সনদটি আগে নেওয়া হয়েছে এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সেটিই আমলে নেওয়া হবে।
