ছেলে ডিভোর্স দেওয়ার ১০ দিনের মাথায় পুত্রবধূকে বিয়ে করলেন শ্বশুর!

পুত্রবধূকে বিয়ে করার কারণে সৃষ্ট কলহের জেরে শ্বশুর হামিদুল ইসলাম (৪৩) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে জীবন দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোন এক সময় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নে পুঁইজোর খালপাড়া গ্রামে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, গত দুই বছর পূর্বে হামিদুলের ছেলে রাকিবুল হোসেন নয়ন (১৮) এর সাথে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া বারমল্লিকা গ্রামের কাশেম মন্ডলের মেয়ে জাহানারা (২০) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দের বছরের মাথায় একটি ছেলে সন্তান হয়। এরপর কোন এক সময় থেকে শশুরের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে সে। বিষয়টা জানাজানি হলে ঘরোয়াভাবে এটার সমাধানের চেষ্টা চলে।

গত  ১০ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী কোর্টে গিয়ে শশুর হামিদুলকে বিয়ে করে ওই গৃহবধূ। এ ঘটনার জানাজানি হলে সংসারে শুরু হয় অশান্তির ঝড়। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কিছু অজ্ঞাত লোক এসে কথা আছে বলে হামিদুলকে ডাকাডাকি করে এবং ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে আসতে বলে। এতে হামিদুল বেশ ভয় পায় বলে জানান তার ছেলে নয়ন। এরপর রাত ১১টার দিকে হামিদুল নিজ ঘরের মাচালে উঠে ঘরের আড়ার সাথে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানান নিহতের পরিবার।

বিষয়টা বুঝতে পেরে ছোট স্ত্রী (পুত্রবধু) জাহানারা নিজেও গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় তবে জানাহানার কিছু হয়নি সে দিব্বিই আছেন।

জাহানা বলেন- আমাকে আমার শশুড় জোর করে বিয়ে করেছিল আমি তাকে বিয়ে না করলে সে মরে যাবে এমন কথা বলায় আমি তাকে বিয়ে করেছিলাম, আমি কাল এ বাড়ীতে আসছি এর পরপরই লোকজন বিষয়টা নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলায় অপমানে লোক-লজ্জা ও পারিবারিক কলহের জেরে হামিদুল (আমার শশুর- স্বামী) আত্মহত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে।