Home > জাতীয় > ‘তোরা নতুন মোটরসাইকেলটা নিলি, তবে আমার বাবাকে মারলি কেন’

‘তোরা নতুন মোটরসাইকেলটা নিলি, তবে আমার বাবাকে মারলি কেন’

নড়াইল সদর উপজেলার হোগলাডাঙ্গা শ্মশানের পাশ থেকে দীপ্ত সাহা নামে এক কলেজছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ফেব্রুয়ারি) সকালে নড়াইলের হোগলা ডাঙ্গায় উত্তমের মাছের ঘেরের মধ্যে ওই কলেজছাত্রের হাত-পা বাধা মরদেহ পাওয়া যায়। সে সদর উপজেলার হোগলা ডাঙ্গা গ্রামের দ্বীনো সাহার ছেলে এবং নড়াইল সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হোগলা ডাঙ্গা এলাকায় নামযজ্ঞের মেলায় দেখার উদ্দেশ্যে নিজের ব্যবহৃত এ্যাপাসি ফোর ভি মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন কলেজ ছাত্র দীপ্ত। রাত হয়ে গেলেও সে আর বাড়িতে না ফেরায় দীপ্তর বাবা অনুমান করেন হয়তোবা কোন বন্ধু বা বোনের বাড়িতে গেছে সে।

সকালে দীপ্তর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তম সাহা নিজ মাছের ঘেরে কাজে গিয়ে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাত-পা বাধা অবস্থায় ঘেরের পানি থেকে কলেজছাত্রের মরদেহটি উদ্ধার করে। তার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। তার পকেট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা গেলেও মোটরসাইকেলটির কোন হদিস মেলে নাই।

স্থানীয়দের ধারনা, নতুন কেনা এ্যাপাচি ফোর ভি মোটর সাইকেল ছিনতাই করতে তাকে খুন করা হয়েছে। বাশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, দীপ্ত তার বাবার একমাত্র ছেলে তাই সব সময় তার আবদার মিটানো হত। নতুন মোটর সাইকেলই তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

দীপ্ত সাহার বাবা দ্বীনো সাহা জানান, শুক্রবার শ্যাম্পু দিয়ে মোটর সাইকেলটি ধুয়ে বিকালে বাড়ি থেকে বের হয় সে। রাত ৯টার দিকে বাড়িতে এসে শুনি নামযজ্ঞের মেলা দেখার জন্য বের হইছে। আমি সারারাত দরজা খুলে ঘুমিয়েছি কখন সে আসবে। সকালে মনে করেছি হয়তো কোন বন্ধুর বাড়িতে আছে। দ্বীনো সাহা আরও বলেন, আমি গরীব মানুষ ছেলেটাকে মোটরসাইকেল কিনে দিছি কষ্ট করে। তোরা মোটরসাইকেলটা নিলি আমার বাবাকে কেন মারলি?

এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আমরা অতি দ্রুত মামলা ডিটেক্ট করে তদন্ত করে দেখছি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত।