Home > জাতীয় > ভাতিজার বউয়ের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মেম্বার গ্রেপ্তার

ভাতিজার বউয়ের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মেম্বার গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে ভাতিজার বউয়ের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাদের জোয়ারদার। পরে তাকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা।

গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন নিজ জিম্মায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, কাদের জোয়ারদার আগেও অস্ত্রসহ একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় নিজের ভাতিজা বউয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় ভাতিজা বউ বাঁধা দিলে বল প্রয়োগ করে ও বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। উপায় না দেখে নিজের সন্মান বাঁচাতে তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে ভোর হওয়ার আগেই সালিশি বৈঠকের কথা বলে নিজ নিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ইউপি সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন।

এ দিকে ভাতিজা বউ রাতেই বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাদেরকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফ।

মামলার বাদী ভাতিজা বউ বলেন, ‘তিনি আমার সম্পর্কে চাচা শ্বশুড়। দির্ঘদিন তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গতকাল মদ খেয়ে বাড়ির সামনে এসে মাতলামি করা শুরু করেন তিনি। কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে মারতে যায়। তাই ভয়ে কেউ কাছে যাচ্ছিল না। তাই নিজের ইজ্জত বাচাঁতে তাকে স্থানীদের সহায়তায় জাপটে ধরে বাড়ির খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখি। পরে ছানোয়ার মেম্বার এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।’

পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদত হোসেন বলেন, ‘আগেও কাদের জোয়ারদারকে অনেকবার শাসন করা হয়েছে। সে আসলে ভাল হবার নয়। এখন মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হোক এটাই আমার কাম্য।’

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘বাদি নিজে এসে থানায় মামলা করলে আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’