Home > জাতীয় > অগ্নিদ্বগ্ধ শিশুকে কবিরাজী চিকিৎসা, ২২ দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু

অগ্নিদ্বগ্ধ শিশুকে কবিরাজী চিকিৎসা, ২২ দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২২ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে রান্নার চুলার আগুনে দগ্ধ মারিয়া (৫) মারা গেছেন। নিহত মারিয়া উপজেলার আচারগাঁ ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের বিপুল মিয়ার মেয়ে। বিপুল মিয়া পেশায় ছোলা ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারী) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারিয়ার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারী বিক্রি করার জন্য ছোলা সিদ্ধ করছিলেন মারিয়ার মা আলপিনা বেগম। চুলার উপর ছোলা বসিয়ে তিনি পাশের বাড়িতে যান। এসময় মারিয়া চুলার কাছে যায়। এতে মারিয়ার পড়নে থাকা জামায় হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। শরীরে আগুন ধরে গেলে মারিয়া দৌড়াতে দৌড়াতে ঘরে থেকে বাইরে বের হয়। বাড়ির লোকজন দেখতে পেরে পানি ঢেলে আগুন নেভায়। তবে, ততক্ষণে মারিয়ার পুরো শরীর ঝলসে যায়।

পরে প্রতিবেশিরা শিশুটির গায়ে লবণ মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ করে। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য মারিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে, শিশুর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে গ্রাম্য কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। ৬ দিন কবিারাজী চিকিৎসায় উন্নতি না হয়ে মারিয়ার শরীরে পঁচন ধরে যায়।

পরে গত ১৭ জানুয়ারি সিংদই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনিছার বিষয়টি জানতে পেরে মারিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জানুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জানুয়ারী ভোরে শিশুটি মারা যায়।

মারিয়ার বাবা পিপুল মিয়া বলেন, আমার কলিজার টুকরো মেয়েটাকে বাঁচাইতে পারলাম না। আমি অনেক চেষ্টা করছি। আল্লাহ আমার মারিয়ারে নিয়ে গেছে। আমি এহন কী নিয়ে থাকব।

এবিষয়ে নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, শুনেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা গেছে। তবে, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কিছু জানায়নি।