Home > জাতীয় > বিদেশিরাও বাংলা সিনেমা দেখতে চান : তথ্যমন্ত্রী

বিদেশিরাও বাংলা সিনেমা দেখতে চান : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাচসাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারা চলচ্চিত্রশিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কার দিয়েও এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগের মতোই আগামী দিনেও বাচসাস চলচ্চিত্রের পাশে থাকবে বলে আমি আশা করি।’

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র এখন ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তি পাচ্ছে। যেটি আগে হতো না। প্রবাসীরা বাংলা সিনেমা দেখতে চান। শুধু বাংলা ভাষাভাষী না, বিদেশিরাও বাংলা সিনেমা দেখতে চান। বাংলা সিনেমার প্রতি বিদেশিদেরও আগ্রহ রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সিনেমার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দিনে এই শিল্প আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন শুধু চলচ্চিত্র না, বিনোদন জগতের সব ক্ষেত্রেই বাচসাসের সদস্যরা বিচরণ করছেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কারণ, তিনি বাচসাসকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখছেন। ভবিষ্যতেও তার এই সহযোগিতা আমরা পাব এই আশা করি।

এ সময় বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ সংগঠনের পক্ষে পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। তার মধ্যে রয়েছে- ১. বিএফডিসিতে বাচসাসের জন্য অফিস রুম বরাদ্ধ। ২. তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড, জুরি বোর্ড, অনুদানের কমিটি ও টিভি প্রিভিউ কমিটিতে বাচসাস প্রতিনিধির নাম অন্তর্ভুক্ত করা। ৩. তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিদেশে চলচ্চিত্রবিষয়ক কোনো টিম সফর করলে তাতে বাচসাস প্রতিনিধির নাম অন্তর্ভুক্ত করা। ৪. বাচসাস ২০২২-২০২৪ মেয়াদের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির তিন মাসে অন্তত একবার তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ। ৫. সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে বাচসাস সদস্যদের অনুদানে বাচসাস সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে অনুমোদন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাচসাসের সহসভাপতি অঞ্জন রহমান ও রাশেদ রাইন, সহসাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক রেজাউর রহমান রিজভী, সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুরায়রা মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর আওয়াল। এ ছাড়াও ছিলেন নির্বাহী সদস্য লিটন এরশাদ, মাঈনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, লিটন রহমান, আনিসুল হক রাশেদ, আমিনুর রহমান লিটন, রুহুল সাখাওয়াত, শফিউল্লাহ সুমন ও রাফি হোসেন।