Home > রাজনীতি > নীলক্ষেতে দোকানে তালা মারতে গিয়ে ধাওয়া খেল ছাত্রলীগ

নীলক্ষেতে দোকানে তালা মারতে গিয়ে ধাওয়া খেল ছাত্রলীগ

রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকার ইসলামিয়া মার্কেটের মনির বুক হাউসে অবৈধভাবে তালা ঝুলানোর চেষ্টা করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের ২০-২৫ কর্মীকে ধাওয়া দিয়েছে মার্কেটের দোকানদাররা। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে পৌনে আটটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও একজনকে ধরে ফেলেন দোকানিরা। এসময় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গণপিটুনিও দেওয়া হয়।

ইসলামিয়া মার্কেট বণিক বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা ৫২ মিনিটে। মুনির বুক হাউস আমার চাচাতো ভাইয়ের। সেদিন ২০-২৫ জন এসেছিল। তারা সবাই নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেয়। তবে তাদের মধ্যের চারজনককে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। তারা হলেন- জুবায়ের, জামান সামি, রিফাত। অপরএকজনের ছবি শনাক্ত করা গেলেও নাম পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, তারা দোকানে এসে কোনো কথা না বলে দোকানে তালা দিতে যায় এবং কর্মচারীদের বের হতে বলে। আমি সমিতির অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ একজন এসে বিষয়টি জানানোর পর আমি গিয়ে ঘটনা কী তাদের জিজ্ঞেস করলে তারদ বলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় তারা আমার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমাকে ধাক্কা দিতে দেখে দোকানদাররা ক্ষেপে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে আসা একজনকে উপস্থিত লোকজন ধরে মারতে শুরু করলে তাকে রক্ষা করে পাঠিয়ে দেই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে আমার কথা হয়েছে। তাকে সকলের পরিচয় জানানো হয়েছে। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জানিয়েছেন যে এরা সকলে হলের কর্মী, কোনো পোস্টেড নেতা না। তাকে এবিষয়ে ওদের সবাইকে নিয়ে এসে কথা বলতে বলা হয়েছে। এছাড়া আমরা থানায়ও গিয়েছিলাম। সেখানে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। আরো তদন্ত করে এরপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনায় অভিযুক্ত জামান সামির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আর হল থেকে পোলাপান নিয়ে গিয়ে শাটার বন্ধ করার মতো ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ওই ঘটনায় সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো ধরনের সংগঠন, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে আমরা সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটা আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজনীতি করি। সেই আদর্শের বিপরীতে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, দোকানে তালা মারার ঘটনায় গতকাল মার্কেটের বণিক সমিতির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করতে থানায় এসেছিলেন। কিন্তু কারও নাম উনি বলতে পারেননি। এরপর অভিযোগ না করেই উনি চলে যান।