Home > জাতীয় > সাগরে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হল সুনামগঞ্জের আরও তিন যুবক

সাগরে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হল সুনামগঞ্জের আরও তিন যুবক

রস্ক থেকে অবৈধভাবে নৌকা যোগে গ্রিস যাবার পথে মৃত্যুর মিছিলে আবারও প্রাণ হারালো সুনামগঞ্জের তিন যুবক। গত মঙ্গলবার নৌকা সাগরে ঝড়ের কবলে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ খবর শুনার পর থেকেই বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন নিহতদের মা বাবা পরিবারের সদস্যগণ।

দুর্ঘটনায় মারা গেছেন জেলার দিরাইয়ের কর্ণগাঁওয়ের জুনেদ মিয়া। লাল মিয়া ও সোনারা বিবির ৭ সন্তানের এক সন্তান জুনেদ মিয়া (২২) কে জেলার টুক দিরাইয়ের দালাল এনামুল হকের মাধ্যমে সাড়ে ১০ লাখ টাকায় গ্রিসের উদ্দেশ্যে পাঠান তারা। দুই মাস আগে সে বাড়ি ছেড়েছে।

অন্য জন হলেন জেলার শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান (২২) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টায় তুরস্ক থেকে গ্রীস যাবার পথে সেও মারা গেছেন বলে পরিবারের লোকজন জেনেছেন। সাইফুরের বাবা আব্দুল জাহিদ দুবাই প্রবাসী। শান্তিগঞ্জের উক্তিরপাড় গ্রামের তুরস্ক প্রবাসী রুহুল আমিনের মাধ্যমে ছেলেকে গ্রিস পাঠানোর ব্যবস্থা করেন বাবা।

দালাল এনামুল হকের মাধ্যমে গ্রিসে যাবার উদ্দেশ্যে ডিসেম্বরে দিরাইয়ের সাকিতপুরের ফুল মিয়া সর্দার ও সাবানা আফসা বিবির ছেলে জনি সর্দার (৩৫) বাড়ি ছাড়ে। দুবাই থেকে ইরান এবং ইরান থেকে তুরস্ক যায় জনি। ওখান থেকে গ্রিসে যাবার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে সেও।

জনির বাবা ফুল মিয়া জানান,তার ছেলে গ্রিসে পাঠানোর জন্য টুক চানপুরের এনামুল হক এনামকে চার দফায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। জুনেদ মিয়ার বাবা লাল মিয়া বললেন,দুই দিন আগে তুরস্কে থাকা একজন আত্মীয় ফোন দিয়ে জানিয়েছে, তাদের বহনকারী নৌকা ঝড়ের কবলে পড়েছে। ছেলেটি জীবিত আছে কি না, এখনো জানি না আমরা।

সাইফুরের মৃত্যু খবর পেয়ে ছেলেটির মা বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ছেলে মৃত্যু খবরে অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন তিনি জানান,৫ ছেলে মেয়ের বড় সাইফুর সকলের আদরের ছিল। ছেলেটির মরদেহ পেলেও শান্তি পেতেন তারা।