পৃথিবিতে স্বামী স্ত্রীর জন্য রহমত। স্ত্রী স্বামীর জন্য রহমত। স্বামী-স্ত্রী একে অপরে অঙ্গ সরূপ। দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক যতো ভালো হবে সুখময় হবে তাদের পরিবার। সুখময় হবে পৃথিবী। যে স্ত্রী স্বামীকে সম্মান করে, স্বামীর ধন-সম্পদ সংরক্ষণ করে, সতীত্ব রক্ষায় সতর্ক থাকে সেই উত্তম স্ত্রী।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের (স্ত্রীদের) পোশাকস্বরূপ। (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৭)
আল্লামা তারেক জামিল বলেন, আমরা স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে চলবো। আমরা স্ত্রীর সাথে সমঝোতা করব। তাকে সম্মান করবো। যে আমার বংশের জন্মদাতা। আমি তাকে আমার চক্ষু শীতলকারী বানাবো।
বর্ণিত হয়েছে, মর্যাদাবান মানুষ স্ত্রীকে সম্মান দেয়, তাকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখে, এর অর্থ এই নয় যে স্বমী নিজের সম্মানকে বিকিয়ে দিয়েছে। লোকেরা বলে, এ লোকতো স্ত্রীকে আগে রাখে, নিজেকে পিছিয়ে রাখে। বরং স্ত্রীকে সম্মান করতে নবী (সা.) শিখিয়েছেন।
নিকৃষ্ট মানুষ, অপদস্ত মানুষ, অস্তিত্বহীন মানুষ নিজের স্ত্রীকে অপদস্ত করে রাখে। স্ত্রীকে গালিগালাজ করে, মারধর করে, তার পিতা মাতাকে গালিগালাজ করা নিজের আদর্শ মনে করে আর এটা হচ্ছে নিকৃষ্ট আদর্শ। অথচ, নবী (সা.) বলেন যে নিজ স্ত্রীকে চাপে রাখে, সে নিকৃষ্ট ব্যক্তি। সম্মানিত ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মর্যাদা দিয়ে রাখে। আমার নিকৃষ্ট হয়ে বাঁচবো না, মর্যাদাশীলদের আদর্শ গ্রহণ করবো। রাসুলের আদর্শকে আমরা গ্রহণ করলে আমাদের পরিবার হবে সুখময়।