নিজেকে কখনও সামরিক কর্মকর্তা আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন সোলায়মান (২৯)। এসব পরিচয়ে মোবাইল ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তেন।
সম্পর্ক গড়ে গত ৯ বছরে বিয়ে করেছেন নয়টি। বিয়ের পর স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে নিয়েছেন যৌতুক। আবার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলেও হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
আর শুধু তাই নয়; স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে নিয়েছিলেন ঋণও। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সোলায়মান ৯টি বিয়ে করলেও কোনো স্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মুখ খোলেননি।
অবশেষে নবম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সোলায়মানকে শনিবার চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। আদালতে পাঠানো হলে আদালত সোলায়মানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “সোলায়মানের বিরুদ্ধে তার নবম স্ত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্তে নামি। দেখি এর আগেও সে আটটি বিয়ে করেছে। এরমধ্যে প্রথম ও অষ্টম স্ত্রীর সন্তান রয়েছে। বাকি ছয় স্ত্রীর সন্তান নেই। গত আড়াই মাস আগে নবম বিয়ে করেছে সোলায়মান। সবকটি বিয়ে করেছে মোবাইল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্ক করে।
১৭ বছর বয়সে চট্টগ্রামে আসার পর ঊনিশ বছর বয়সে সোলায়মান প্রথম বিয়ে করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। ওই স্ত্রীর সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় নিয়েছে যৌতুক। পরবর্তীতে একে একে আরও আটটি বিয়ে করে।
সর্বশেষ নবম বিয়ে করে নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকায়। ওই মেয়ের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়। বিয়ের পরও তার পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক নিয়েছিল প্রতারক সোলায়মান। অষ্টম স্ত্রী রাহেলার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে আমাদের জানিয়েছে।”