Home > অন্যান্য > চুমোর পর অশ্লীল ছবি, বিতর্কে সেই গায়ক

চুমোর পর অশ্লীল ছবি, বিতর্কে সেই গায়ক

গায়ক হিসেবে ভালো পরিচিতি পেলেও বিতর্ক যেন কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়ছে না। কখনও রাখি সাওয়ান্তকে জোর করে চুমু, কখনও ডাক্তারকে সজোরে থাপ্পড়… মিকা সিং মানেই এখন বিতর্ক।

‘আপনা স্বপনা মানি মানি’ থেকে হালফিলে ‘সিম্বা’ ছবির ‘আঁখ মারে’— মিকা সবেতেই সুপারহিট। তাঁর লাইভ অনুষ্ঠান মানেই প্রচুর লোক, শিসধ্বনি আর নাচ। পার্টি সংয়ের রাজা তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে বারে বারে এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি যে, বারেবারেই নিউজের শিরোনাম দখল করেছে তাঁর নাম।

নিজের জন্মদিনের পার্টিতে রাখি সাওয়ান্তকে আচমকাই সবার সামনে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন মিকা। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রাখি তো রীতিমতো শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন মিকার বিরুদ্ধে। মিকা বলেছিলেন রাখিকে নাকি তিনি ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছিলেন।

পার্টিতে বলিউডের ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মিকা। সে সময় রাখির বয়ফ্রেন্ড ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক আশিস শেরউড। আশিস আবার মিকারও ভাল বন্ধু। পার্টি ভালই চলছিল। আচমকাই রাখিকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে শুরু করেন মিকা। মিকার কথায়, “রাখিকে আমি আমন্ত্রণই জানাইনি। আশিসের সঙ্গেই ও এসেছিল। পার্টিতে শুরু থেকেই ও আমার সঙ্গে একটু বেশি ফ্রেন্ডলি হতে চাইছিল। আমি যদিও বিশেষ পাত্তা দিচ্ছিলাম না। আমি সবাইকে বলেছিলাম আমায় যেন কোনও ভাবেই মুখে কেক না মাখানো হয়। আমার অ্যালার্জি রয়েছে।”

মিকা আরও বলেন, “সবাই সে কথা শুনলেও রাখি শোনেনি। ও আচমকাই আমার মুখে কেক মাখাতে শুরু করে। তাই ওকে শিক্ষা দিতেই চুমু খেয়েছিলাম।” যদিও মিকার এই বয়ানে নিন্দায় ফেটে পড়েছিলেন নেটাগরিকরা।

‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার অর্থ চুমু খাওয়া? প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। যদিও এর পরেও মিকার হাবভাবে এতটুকু পরিবর্তন আসেনি। তিনি তাঁর ‘শিক্ষা দেওয়া’ বয়ানে ছিলেন অনড়। এ তো গেল একটি উদাহরণ।

শুধু জোর করে চুমু খাওয়াই নয়। বলিউডে ব্রেক দেওয়ার নাম করে দুবাইয়ের ১৭ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। জল গড়িয়েছিল পুলিশ অবধি। মিকার বিরুদ্ধে সেই মামলা আজও চলছে।

গায়কের মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমে যদিও দাবি করেন, “এ অভিযোগ মিথ্যে। পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহায়তাই করছেন মিকা। সত্যিটা খুব শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে।” কিন্তু বিতর্ক কি আর চেপে রাখা যায়?

রেগে যাওয়া বা জোর করে চুমুই নয়, মিকার তালিকায় রয়েছে অবৈধ ভাবে বিদেশি মুদ্রা বহন করার অভিযোগও। ২০১৩ সালে সে জন্য মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ১২ হাজার মার্কিন ডলার বহন করছিলেন তিনি। এক সঙ্গে এত বিদেশি মুদ্রা বহন করার অনুমতি না থাকায় মিকা গ্রেফতার হন।