Home > আন্তর্জাতিক > এবার ভিয়েতনামে দালালদের হাতে জিম্মি কয়েকশ’ বাংলাদেশি কর্মী

এবার ভিয়েতনামে দালালদের হাতে জিম্মি কয়েকশ’ বাংলাদেশি কর্মী

অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিয়েতনামে পাঠানো পাচারচক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা জামাল উদ্দিন সোহাগ (৩৪), কামাল হোসেন (৩৯) ও জামাল হোসেন (৩৭)।

তিনদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তাদের ঢাকা মাহনগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।

জানা গেছে, লিবিয়ার মত ভিয়েতনামেও অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের জিম্মি দশায় পড়ে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। আর তাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করেন বাংলাদেশি দালালরাই। একের পর এক ভিডিও বার্তায় দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে যাচ্ছেন কয়েকশ’ বাংলাদেশি। কিন্তু কানে তুলছে না কেউ।

ভিয়েতনাম প্রবাসী সুমনকে ৩ মাস ধরে আটকে রেখে চলে নির্যাতন। দালালরা অস্ত্র উঁচিয়ে পরিবারের কাছ থেকে নেয় মুক্তিপণ, না দিলে চলে আবারও নির্যাতন।

সুমন বলেন, আমি ১ বছর আগে ভিয়েতনাম এসেছি, ১ মাস দালালদের হাতে বন্দি ছিলাম। তারা আমাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর পানি খাওয়ায়, জ্ঞান ফিরলে আবার মারে।

মঙ্গলবার দালালদের ডেরা থেকে তাকে উদ্ধার করেন কয়েকজন বাংলাদেশি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জানালেন, এখনও হত্যার হুমকি দিচ্ছে দালালরা।

সুমনের মতো অন্যদেরও জিম্মি করে নির্যাতন করে দালাল আতিকুর রহমান (বাড়ি- হাসনাবাদ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা) আকরাম (সদর থানা, কুমিল্লা) সাইফুল ইসলাম (বুড়ি চং, কুমিল্লা)।

সেখানে দালালদের হাতে জিম্মি কয়েকশ’ বাংলাদেশি। তারা অনেকের পাসপোর্ট ও ভিসা কেড়ে নিয়েছে। এ অবস্থায় ভিডিও বার্তায় প্রবাসীরা দেশে ফেরার আবেদন জানালেও শোনার যেন কেউ নেই।

দালালরা বাংলাদেশি হলেও অবস্থান করছে ভিয়েতনামে। সেক্ষেত্রে তাদের কীভাবে আইনের আওতায় আনা সম্ভব?

সিআইডি’র মানবপাচার বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, তদন্ত সম্পন্ন করে যারাই অভিযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইমিগ্রশনে চিঠি দিয়ে তাদের গমন-নির্গমন আটকিয়ে দেওয়া হবে।

আইন বলছে, প্রবাসীরা বিপদে পড়লে আশ্রয় দেবে দূতাবাস। আর তাদের ফেরত আনার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে। যদিও এজেন্সিগুলো এখন লাপাত্তা।