Home > জাতীয় > পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার শত শত মানুষ বিভিন্ন কৌশলে পায়ে হেঁটে জড়ো হচ্ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে এসব মানুষ। কেউ কেউ আবার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘাটের অদূরে ট্রলার কিংবা ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। যাত্রীদের ঘাট থেকে বাসে করে ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ।

ঘাটে আসা যাত্রীরা জানান, ঈদের মধ্যে শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সবই বন্ধ রয়েছে। তাদের কর্মস্থলগুলো বন্ধ। আয়-উপার্জন নেই। ঢাকায় বসে থেকে তারা কি করবে। বাধ্য হয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মহাসড়কে তাদের বহু স্থানে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে পুলিশের চেকপোষ্ট এড়িয়ে ফেরিঘাটে পৌছেছে।কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের।

ঈদের মধ্যে বাড়ি না গেলে ঈদের পর লম্বা লকডাউনের মধ্যে পড়তে হবে- এমন আশংকাও রয়েছে তাদের। বাধ্য হয়ে লকডাউন ভেঙ্গে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে, পায়ে হেঁটে ঘাটে পৌছেছে। ফেরিঘাটে ফেরি বন্ধ থাকায় তারা বিকল্প পথও খুজছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘাটের অদূরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা ট্রলারে করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ ফেরির অপেক্ষায় বসে আছে।

পুলিশ ঘাট এলাকায় এসব যাত্রীদের থাকতে দিচ্ছে না। মাইকিং করে ঘাট ত্যাগ করার আহবান জানাচ্ছেন। কোনভাবেই যেন ঢাকা থেকে আসা এসব যাত্রীরা নদীর পার না হতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন পুলিশ সদস্যরা। এসব মানুষকে বিনা ভাড়ায় বাসে করে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করছে পুলিশ প্রশাসন।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মোট ১০টি স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। বাঁশকল বসিয়ে চেকপোষ্টে সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানিকগঞ্জের প্রবেশদ্বার গোলড়া এলাকায় শক্ত বাঁশকল বসিয়ে সব ধরনের যানবাহনকে তল্লাশী করে শুধুমাত্র পন্যবাহী ট্রাক, জরুরী সরকারি যানবাহন, রোগীবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। বাকী সব ধরনের যানবাহনকে ঘুরিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরপরও বিভিন্ন কৌশলে মানুষজন শাখা রাস্তা, কিংবা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছে। এসব মানুষদের ফেরি পার না করে উল্টোপথে বাস ভাড়া করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পর্যন্ত ২০টির মত গাড়িতে করে কয়েকশ যাত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রলার কিংবা নৌকা চলাচল করায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।