Home > বিনোদন > গার্মেন্ট মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির ঋণী : অনন্ত জলিল

গার্মেন্ট মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির ঋণী : অনন্ত জলিল

গার্মেন্ট কারখানার মালিকরা সৎ থাকলে এই শিল্পে কোনো ধরনের সং’কট হবে না বলে মনে করেন দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা অনন্ত জলিল।

তিনি বলেছেন, অনেক গার্মেন্ট মালিক ও তাদের বউ, বাচ্চাদের বিদেশি পাসপোর্ট আছে। সেখানে তাদের গাড়ি-বাড়িও আছে। তাদের বাচ্চারাও বিদেশে পড়েন। বিদেশেই থাকেন। আমার এসব নেই। নিজের কারখানায় কোনো দিন শ্রমিক অসন্তো’ষ হয়নি- দাবি করে গার্মেন্ট মালিকদের উদ্দেশ্যে বাংলা ছবির এই নায়ক বলেন, ‘আপনি সৎ থাকলে বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারবেন।’

দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে সাফল্য দেখিয়ে দশবারের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি মর্যাদা পাওয়া শিল্পোদ্যোক্তা অনন্ত জলিল এসব কথা বলেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এজিআইর চেয়ারম্যান অনন্ত জলিলের কাছে প্রশ্ন ছিল- আপনি নিজেকে গার্মেন্ট শ্রমিকবান্ধব দাবি করছেন, অন্য মালিকরা কেন এটা করতে পারছেন না?

 

জবাবে অনন্ত জলিল বলেন, ”আমি ছোট থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বড় হয়েছি। এক দিনে বিশাল ফ্যাক্টরি গড়ে তুলতে পারিনি। তিলে তিলে নিজের শ্রম, ঘাম ও মেধা দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক স্থাপন করে এই পর্যন্ত এসেছি। আজ পর্যন্ত আমার কারখানায় কোনো দিন শ্রমিক অসন্তোষ হয়নি। আমার কোনো দুর্ব’লতা থাকলে, সৎ সাহস নিয়ে কথা বলতে পারতাম না।”

দেশের শীর্ষ এই পোশাক পণ্য রপ্তানিকারক বলেন, কথা বলার সৎ সাহস লাগবে গার্মেন্ট মালিকদের। করোনা ভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের গার্মেন্ট মালিকদের এখন খুবই দু’রবস্থা চলছে। একদিকে ২০১৩ সালের পর থেকে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বেড়েছে, অন্যদিকে গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য সেবার ফি বহুগুণে বেড়েছে। সব কিছুর খরচ বেড়েই চলছে। পোশাক ও বস্ত্র খাত মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এই খাত এখন করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচিত এই চিত্রাভিনেতা বলেন, করোনার ক’রুণ পরি’স্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশার আলো দেখিয়েছেন। আমি জানি না এই প্রণোদনা না পেলে এই শিল্পের কী পরি’স্থিতি হতো। তবে এটুকু বলতে পারি- শ্রমিকরা সব রাস্তায় নেমে আসত। তখন পরি’স্থিতি কত ভ’য়াব’হ হতো, তা কেউ বলতে পারবে না। এমন সং’কটে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থান আমাদের নতুন সা’হস সঞ্চার করেছে। দিয়েছে শ্রমিকদের নিয়ে এই শিল্প এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা। মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির ঋণী। তথ্যসূত্র : বিডি প্রতিদিন