বরেণ্য মুফাসসির ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির হাফিজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীরর জানাজার নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এসময় করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাখো মানুষ জানাজায় অংশ নেন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন জুবায়ের আহমদ আনছারির দ্বীতিয় ছেলে মাওলানা আসাদুল্লাহ গালিব। পরে বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজা মাদরাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায়। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ ছিল একপ্রকার নীরব দর্শক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা থেকে বুঝা যায় যে আমাদের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ দিয়ে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মোটেও সম্ভব না। সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু লাখে মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে বি-বাড়িয়ার মার্কাজপাড়ার আনছারি মঞ্জিলে হাফিজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনছারি ইন্তেকাল করেন। দেশ-বিদেশে খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি সুবক্তা হাফিজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনছারী দীর্ঘদিন থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি দেশ-বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শমতে তিনি মার্কাজপাড়ার আনছারি মঞ্জিলে গত কয়েক মাস থেকে অবস্থান করছিলেন।
অসুস্থতার কারণে সকল ইসলামি প্রোগ্রাম বাতিল করে দিয়েছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে শারিরীক অবস্থা খারাপ থাকার পর গতকাল বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে তিনি নিজ বাড়িতেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে জুবায়ের আহমদ আনছারীর বয়স ছিলো ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে এবং অসংখ্য ছাত্র ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।