Home > অন্যান্য > মহামারির পর মৌসুমী রোগ হয়ে থেকে যাবে করোনা!

মহামারির পর মৌসুমী রোগ হয়ে থেকে যাবে করোনা!

বছরের শুরুতেই চীনে যখন একের পর এক কেড়ে নিচ্ছিল প্রাণ তখনও উন্নত বিশ্বের অনেক হর্তাকর্তা করোনাভাইরাস নিয়ে রসিকতায় মেতেছিলেন। রাষ্ট্রপ্রধানদের কেউ কেউ বোল ছুড়েছেন লাগামহীন। এমনকি বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে গবেষকরা পর‌্যন্ত বুঝে উঠতে পারেননি মাত্র দুই মাসেই গোটা বিশ্বে স্থবিরতা নামিয়ে দেবে রহস্যজনক নভেল করোনাভাইরাস।

বিশ্বজুড়ে থমকে যাওয়া জনজীবন ফের কবে নাগাদ কর্মমুখর হবে বলতে পারছে না কেউ। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনার মতো কোনো আশাবাদও কেউ কাউকে শোনাতে পারছেন না। এদিকে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। প্রশ্ন উঠেছে প্রাণ সংহারক নভেল করোনাভাইরাসের এই দাপট কি চলতেই থাকবে? সারাবিশ্ব এখন থমকে আছে এই এক প্রশ্নকে সামনে রেখেই।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন, চেষ্টা করছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের। তবে এখনও দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। নিরুপায় হয়েই কাটছে বিশ্ববাসীর প্রতিটি দিন। করোনার প্রাদুর্ভাব কীভাবে আর কখন শেষ হতে পারে তা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম কথা বলেছে বেলজিয়ামের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সাবেক প্রধান ও ভাইরাসবিদ গুইডো ব্যানহামের সঙ্গে।

ব্যানহাম বলেছেন, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না এই ভাইরাস নির্মূল করতে পারব ততক্ষণ পর্যন্ত এর সংক্রমণ শেষ হচ্ছে না। আর এটি নির্মূল করার একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ। মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যেমই এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গুটি বসন্তের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল। তবে এটা করতে অনেক বছর লেগে গেছে।

‘সুতরাং এই ভাইরাস সম্ভবত পৃথিবীতে রয়েই যাবে। তবে এটা অন্য ভাইরাসের মতো আচরণ করবে কি না তা একটি বড় প্রশ্ন’ যোগ করেন এই ভাইরাসবিদ। তার ভাষ্য, মহামারির পর মৌসুমী রোগ হিসেবে রয়ে যাবে করোনা।

তিনি বলেন, প্রতিবছরই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হতে পারে শীত, বসন্ত আর শরৎ ঋতুতে। আর এর প্রকোপ কমতে পারে গ্রীষ্মে। অন্য মহামারির ক্ষেত্রেও যেমনটা ঘটেছে এবারও হয়তো সেটা ঘটতে পারে। মানুষকে আক্রান্ত করার পর স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব কমে আসবে। তবে এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ভ্যাকসিন প্রয়োজন। ’