Home > 'কোভিড-১৯' সর্বশেষ আপডেট > দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ আবেদনপত্র গ্রহণ করেছে। আবেদনকারী তিন আইনজীবী হলেন- শিশির মুনীর, আসাদ উদ্দিন ও জোবায়দুর রহমান।

দেশে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। আজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও তিনজন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। মারা গেছেন ১ জন। বিশ্বের ১৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৮ হাজার ৯৬৯ জন, যার অধিকাংশই চীনের নাগরিক। সব মিলিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৫ জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেক দেশেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে উহানে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে চীনের ভূখণ্ড পেরিয়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। ইতোমধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে নয় হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে দুই লাখ। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজনের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় আইইডিসিআর।

ওই তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে এসেছিলেন। ইতালি ফেরত একজনের পরিবারের সদস্য ছিলেন আক্রান্ত তৃতীয়জন। ওই সময় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি আরও চারজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। এরপর গত ১৪ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও দুজন আক্রান্তের খবর জানান। ওই দুজন ইউরোপের দেশ ইতালি ও জার্মানি থেকে এসেছিলেন। তাদেরই একজনের মাধ্যমে পরিবারের এক নারী ও দুই শিশুর আক্রান্ত হওয়ার খবর আইডিসিআর জানায় ১৬ মার্চ। আর ১৭মার্চ আরও দুইজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়ে বলা হয়, তাদের একজন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, অন্যজন বিদেশফেরত একজনের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়া আরও চারজন প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় আইইডিসিআর।