টিক্কোপুর গ্রামের একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। মানুষের কাঁচা মাংস নিয়ে এসে স্ত্রীকে রান্না করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন স্বামী। এরপর স্ত্রীর অভিযোগে সঞ্জয় (৩২) নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর যুবকটির মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে এ ঘটনার পর আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে চাইছেন না স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকায়। টিক্কোপুর গ্রাম ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনরে অবস্থিত
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে টিক্কোপুর গ্রামের বাজারে গিয়েছিলেন সঞ্জয়ের স্ত্রী। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখেন রান্নাঘরে কিছু একটা রান্না করছেন মদ্যপ স্বামী। প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেও পরে চোখ কপালে ওঠে তার। তিনি দেখেন, মানুষের একটি হাত ও আঙুল রয়েছে কড়াইতে। আর সেটি ভাজছেন তার স্বামী। এ দৃশ্য দেখার পরই আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তারপর রান্নাঘরের মধ্যে স্বামীকে আটকে রেখে প্রতিবেশীদের খবর দিয়ে সোজা চলে যান স্থানীয় থানায়। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সব ঘটনার কথা খুলে বলেন। এরপর তার সঙ্গে গিয়ে বাড়িতে থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আরসি শর্মা জানান, স্থানীয় শ্মশানে পড়ে থাকা মানুষের মৃতদেহ থেকে মাংস কেটে একটি পলিব্যাগে করে বাড়িতে এনেছিল সঞ্জয়। তারপর তা দিয়ে রাতের খাবার তৈরি করছিল। তার স্ত্রী সেটা দেখতে পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরে তাদের বাড়িতে গিয়ে মানুষের মাংস পাওয়া যায়।