Home > জাতীয় > পাপিয়া ইস্যুতে নারীবাদীদের একহাত নিলেন আসিফ নজরুল

পাপিয়া ইস্যুতে নারীবাদীদের একহাত নিলেন আসিফ নজরুল

রাজনীতির আড়ালে অস্ত্র, মাদক ও দেহব্যবসা করে বিশাল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া বহিস্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে এখনও সোচ্চার না হওয়ায় নারীবাদীদের এক হাত নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একজন নারী সাংবাদিকের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিচার চাওয়ার জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন নারীবাদী, নারী নেত্রী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং ডাকসাইটের মন্ত্রীরা।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী যুবলীগের বীভৎস ও পাশবিক এই নেত্রীর ছবি দেখুন। এই খবিশ মহিলা পিটিয়ে অল্প বয়সী নারীদের বাধ্য করত দেশের রথী-মহারথীদের বিকৃত যৌনাচারের শিকার হতে।’

‘এ অভিযোগের বিচার চাইবেন না? এ মহিলা শুধু না, সেসব রথী-মহারথীর বিচারে সোচ্চার হবেন না আপনারা এবার? নাকি আপনাদের চোখে শুধু সেই নারী সাংবাদিকই নারী, হোটেল ওয়েস্টিনে বলি হওয়া মেয়েগুলো কিছু না?’

প্রসঙ্গত, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।

জানা গেছে, অশ্লীল ভিডিওতে ঠাসা সদ্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীম নূর পাপিয়া ওরফে পিউর মোবাইল ফোন। এসব ভিডিওতে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে উঠতি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ছাড়াও আমলা এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার অশ্লীল ছবি রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাজনীতির আড়ালে মাদক ও নারীদের নিয়ে ‘বাণিজ্য’ করতেন পাপিয়া। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোয় মাঝেমধ্যেই ‘ককটেল পার্টি’র আয়োজন করতেন। এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন। মদের পাশাপাশি পার্টিতে উপস্থিত থাকত উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীরা।

মদের নেশায় টালমাটাল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কৌশলে ধারণ করা হতো ওই তরুণীদের অশ্লীল ভিডিও। পরে ওইসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতেন পাপিয়া। বনিবনা না হলেই ফেসবুকে ছড়িয়েও দেয়া হতো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই পাপিয়ার কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া খবর। পাপিয়ার অপকর্মের সঙ্গীদের ধরতে এরই মধ্যে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চলছে।