Home > অন্যান্য > কচুরিপানা চিবিয়ে খাচ্ছে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

কচুরিপানা চিবিয়ে খাচ্ছে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রীর কচুরিপানা খাওয়ার কথাটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। যদিও তিনি পরের দিনই জানিয়েছেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তিনি মূলত গবেষণার কথা বলেছেন।

কচুরিপানা খাওয়া যাবে কি যাবে না এনিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কচুরিপানা খাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে একজন যুবককে কচুরিপনা খেতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে আবার নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা।

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।

যা নিয়ে আবার নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। একজন বলছেন, ‘দেখতে মানুষের মতো আসলে সে গরু। নইলে কচুরি খেত না।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘বিষয়টাকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটা অতিরঞ্জিতের কি আছে, খেয়ে তো পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’

কেউ কমেন্ট করেছেন, ‘হ ভাই এখনই খাওয়া শুরু করেন, আমি তো গবেষণার পর কিছু বাহির হলে খাবো, কানে কালা লোকজন কাচা কচুরিপানা খাইলে কানের ও চোখের জ্যোতি বাড়বে।’

আবার কারো মন্তব্য, ‘অনেক দেশেই এটা রান্না করে ভোজ্য হিসেবে, পথ্য হিসেবেও খায়।’ আলিম আর রাজি বলেন, ‘জটিল ভাই, কোন মসলাপাতি আর রান্নার ঝামেলা নাই। মন্ত্রী মহোদয় জেনে বুঝেই বলেছেন। কিন্তু ভয় হয় উনি আবার দুধ দিতে বলবেন না তো? !!

তবে ভিডিওটি কবে, কোথায় তা জানা যায়নি। এছাড়া ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। পুরু, চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতাবিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিপৃষ্ঠের ওপর ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর কাণ্ড থেকে দীর্ঘ, তন্তুময়, বহুধাবিভক্ত মূল বের হয়, যার রঙ বেগুনি-কালো। একটি পুষ্পবৃন্ত থেকে ৮-১৫টি আকর্ষণীয় ৬ পাঁপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়।

কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। সবচেয়ে পরিচিত কচুরিপানা Eichhornia crassipes রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

কচুরিপানা দিয়ে কাগজের মণ্ড তৈরির পাশাপাশি বায়ো ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক দেশ। শুধু তাই নয়, কচুরিপানা আসলেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় কম্বোডিয়ায়। দেশটির মানুষ কচুরিপানা লতি আর ফুল ব্যবহার করে অসাধারণ একটি মাছের স্যুপ তৈরি করে, যা তাদের নিত্যকার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়া কচুরিপানার ফুলেরও রেসিপি আছে, যা বাংলাদেশের অনেকেই খেয়েছেন।