Home > অন্যান্য > কবিরাজি চিকিৎসার নামে তরুণীকে ৫৫৭ দিন ধর্ষণ

কবিরাজি চিকিৎসার নামে তরুণীকে ৫৫৭ দিন ধর্ষণ

সিলেটের বিশ্বনাথে চিকিৎসার কথা বলে অসুস্থ এক তরুণীকে দেড় বছর ধরে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কবিরাজ কমরুদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত কমরুদ্দিন বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে।

জানা গেছে, উপজেলার পুরান বাজার (শরীষপুর) এলাকার আছদ্দর ম্যানশনে ভাড়া বাসায় ‘সিফা তদবিরালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে রমরমা কবিরাজি ব্যবসা ও নানা কুকর্ম করে আসছিলেন তারা।

ওই তরুণীর মা বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে আমার বড় মেয়ে নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ে কবিরাজ কমরুদ্দিনের শরণাপন্ন হই। চিকিৎসার প্রয়োজনে আমার মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে এবং নগদ ১০ হাজার টাকা দিতে বলেন। কবিরাজের কথা মতো টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি। পরবর্তীতে মেয়েকে আনার জন্যে ‘সিফা তদবিরালয়ে’ যাওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। কবিরাজ মেয়েকে আমার কাছে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নানা হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এভাবে প্রায় দেড় বছর ধরেই সিফা তদবিরালয়ে মধ্যে তালা দিয়ে ঘরে আটকে রাখে আমার মেয়েকে। আমি কবিরাজের ভয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনি।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারের পর ওই তরুণী জানিয়েছে- ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাকে দিনরাত ঘরের ভেতর তালা দিয়ে আটকে রাখতেন। কোথাও বের হতে দিতেন না। সম্প্রতি কমরুদ্দিন ভুয়া বিয়ের কাগজ তৈরি করে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।

বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মূসা জানান, ওই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরএ