Home > ধর্ম > মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াতে অন্তরের মরিচা দূর হয়

মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াতে অন্তরের মরিচা দূর হয়

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, হুজুরে আকরাম (সা.) বলেছেন, লোহায় পানি লাগলে যেরূপ মরিচা পড়ে, অনুরূপ মানুষের কলবের (অন্তরের) মধ্যেও মরিচা পড়ে যায়। কেউ জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! এটা পরিষ্কার করার উপায় কি? হুজুর (সা.) উত্তর করলেন, মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াত করা। – (বায়হাকি)

অর্থাৎ অতিমাত্রায় পাপ করলে ও আল্লাহর জিকির থেকে অমনোযোগী হয়ে গেলে কলবের মধ্যে মরিচা লেগে যায় এবং কালামে পাকের তেলাওয়াত ও মৃত্যুকে স্মরণ এটা পরিষ্কারের জন্য রেতের কাজ করে। অন্তর ঠিক আয়নার মতো। আর এটা যত বেশি স্বচ্ছ ও পরিস্কার হবে, চেহারা তত বেশি পরিষ্কার দেখাবে। তাই অন্তর-আয়নাকে নির্মল করার জন্য মাশায়েখে কেরাম নানা রকম রিয়াজত ও মোজাহাদার সবক দিয়ে থাকেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, বান্দা যখন পাপ করে, তখন অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। এরপর সে যখন খালেস তাওবা করে, সঙ্গে সঙ্গে সেই দাগ মুছে যায়। এভাবে আবার গুনাহ করতে থাকলে দাগ পড়তে থাকে। এমনকি দাগ পড়তে পড়তে এটা একেবারে কালো হয়ে যায়। এরপর সেই অন্তরে ভালো কাজের প্রতি আর কোনো আগ্রহ থাকে না, বরং অন্যায়ের প্রতিই তার আকর্ষণ বেড়ে যায়।

 

এদিকেই কোরআনের একটি আয়াত ইঙ্গিত করেছে- কাল্লা বাল রা’না ‘আলা কুলুবিহিম মা কানূ ইয়াকসিবুন, অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই তাদের অন্তরে তাদের বদআমলগুলো মরিচা জমা করে দিয়েছে।’ হজরত হাসান বসরী (রহ.) বলেন, আগের লোকেরা কোরআন শরিফকে শাহী ফরমান মনে করত, তাই সারা রাত তার ওপর চিন্তা-ফিকির করত এবং দিনের বেলা সে অনুযায়ী আমল করত। আর বর্তমান জামানায় তোমরা জের জবর ও অক্ষরগুলোকে বেশ দুরস্ত করেছ, কিন্তু সেটাকে শাহী ফরমান মনে করছ না। কাজেই এ ব্যাপারে চিন্তা-ফিকিরও করছ না।