নায়িকার সঙ্গে শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন বিনোদ খান্না

রূপালি পর্দার তারকাদের নিয়ে গসিপ শুনতে অনেকেরই ভালো লাগে৷ প্রয়াত বলিউড তারকা বিনোদ খান্নাকে নিয়ে রয়েছে মুখরোচক গসিপ৷ শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করতে করতে তিনিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ সেখানে তাঁর বিপরীতে নায়িকার ছিলেন ডিম্পেল কাপাডিয়া৷ এটা ঘটনা একেবারে সাফল্যের মধ্যগগনে থাকাকালীন হঠাৎ বিনোদ খান্না অভিনয় ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সন্ন্যাসী রজনীশের আশ্রমে৷ সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে এই রূপালি পর্দার নায়কের চলছিল সাধন ভজন৷ যদিও রজনীশের আশ্রমে সাধন ভজনের নিয়ে বির্তক ছিল৷

অনেকের অভিযোগ সেখানে অবাধ যৌনতা চলত সাধন ভজনের নামে৷ ওই আশ্রমে কিছুকাল থাকার পর ফের সিনেমার জগতে ফিরে আসতে চান তিনি৷ তখন তিনি ওঁনার পরিচালক-প্রযোজক বন্ধুদের তাঁর ইচ্ছের কথা জানান৷ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে কয়েকজন পরিচালক প্রযোজক এগিয়ে আসেন তাদের মধ্য অন্যতম হলেন মহেশ ভাট ৷ তখন তিনি তাঁর পরের দুটি ছবি ‘ জুরম’ এবং ‘ প্রেম ধর্ম ’ জন্য বিনোদকে নেন৷ ফিরে এসে ওইসময় বিনোদ একসঙ্গে বেশ কয়েকটা ছবির শ্যুটিং করছিলেন৷ ফলে শ্যুটিং এর চাপে গোটা দিনই তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছিল৷ ওই সময় একদিন মহেশ ‘প্রেম ধর্ম’ ছবির শ্যুটিং ফেললেন রাতেরবেলা৷ সেটি একটি শয্যাদৃশ্য এবং বিনোদের বিপরীতে ছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া৷ ওই দৃশ্যে বিনোদের বেশ কয়েকবার ডিম্পলকে চুম্বন করতে করতে জড়িয়ে ধরার কথা৷ সেই মতো সেট সাজিয়ে সবাই বিনোদের জন্য অপেক্ষা করছিল৷

বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বিনোদ ছবির সেটে এসে পৌঁছন৷ রাতের দৃশ্য হওয়ায় আধো অন্ধকারে ঢাকা ছিল চারিদিক৷ পরিচালকের নির্দেশ মতো বিনোদ পোশাক পরিবর্তন করে বিছানায় ডিম্পলের পাশে নিজের পোজিশন নেন৷ এরপর পরিচালক ‘অ্যাকশন’ বলা মাত্র বিনোদ ডিম্পলকে চুমু খেতে খেতে এবং সঙ্গীকে একেবারে জড়িয়ে ধরেন৷কিন্তু মহেশের প্রথমে এই দৃশ্যে অভিনয়টা একটু আরষ্ট মনে হওয়ায় ফের ওই দৃশ্য আরও একবার নেবেন ঠিক করেন৷ সেই মতো অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের নির্দেশ দেন৷ এরপর তাদের মধ্যেকার জড়তা কাটাতে পরিচালক বেশ খানিকটা দূর সরে এসে ক্যামেরাম্যানকে রেডি করেন ৷ সব কিছু রেডি করে বিনোদ ডিম্পেলের থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়ে সেখান থেকেই মহেশ ‘অ্যাকশন’ বলে চিৎকার করেন৷ মহেশের নির্দেশ পেয়ে বিনোদ আবার ডিম্পলকে চুম্বন করতে শুরু করেন এবং যথারীতি জড়িয়ে ধরেন৷ এবার মহেশ চিৎকার করে দৃশ্য শেষ হওয়ার নির্দেশও দেন৷

দূরে থাকার জন্য হয়তো বিনোদ মহেশের ‘কাট’ বলার নির্দেশ শুনতে পাননি ফলে উনি ডিম্পলকে ছাড়ছিলেন না৷ ওই অবস্থায় উনি তাঁর নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে রেখেছিলেন ডিম্পলের ঠোঁটে৷ এদিকে ডিম্পল কিন্তু মহেশের নির্দেশ শুনতে পেয়েছিলেন কিন্তু বিনোদের অমন আচরণ দেখে বেশ ঘাবড়ে যান৷ তখন ডিম্পেল বিনোদের থেকে নিজেকে বন্ধনমুক্ত করতে মরিয়া চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কারণ বিনোদ তাঁকে এতটাই জোরে জড়িয়ে ধরেছিলেন যে উনি নিজেকে ছাড়িয়ে আনতে পারছিলেন না৷ চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটতে দেখে তখন মহেশ এবং ইউনিটের আরও অনেকের বিনোদের দিকে এগিয়ে যান৷ মহেশ তখন তাদের কাছে গিয়ে ‘কাট’ ‘কাট’ বলে চিৎকার করতে থাকেন৷ অবশেষে বিনোদের সম্বিত ফেরে এবং ডিম্পলকে ছেড়ে দেন।

ডিম্পল এবং মহেশ কেউই এইরকম পরিস্থির জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলেন না কারণ দু’জনেই আগেও বিনোদের সঙ্গে কাজ করেছেন৷ অথচ ওইদিন শ্যুটিং এর সময় বিনোদ শয্যাদৃশ্য কেমন যেন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ ওই ঘটনার পর ডিম্পল রাগ করলেও মুখে কিছু না বলে সোজা নিজের মেক আপ রুমে চলে যান৷ মহেশ অভিনয় চলাকালীন বিনোদের অমন আচরণের জন্য ডিম্পলের কাছে ক্ষমাও চাইতে বলেন৷ ডিম্পলকে বোঝানো হয় কাজের চাপে ভীষণ ক্লান্ত ছিলেন বিনোদ তার উপর কিছুটা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় এমনটা হয়েছিল৷ এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।

তবে এই ঘটনা কতটা সত্যি তা নিয়ে এখনও অনেকের সন্দেহ রয়েছে কারণ এই ঘটনার কথা তখনকার দিনে কোনও পত্রিকায় বের হয়নি৷ শুধুমাত্র একটা আঞ্চলিক ম্যাগাজিনে গোটা ঘটনার কথা বিস্তারিত বেরিয়েছিল৷ পরবর্তীকালে অবশ্য বহু পোর্টালে এই ঘটনা নিয়ে খবর হয়েছে৷