মানুষ বড়ই অদ্ভুত এক প্রাণী। এর অনুভুতি বা ইমশন বলে একটা বস্তু আছে, যা অন্য জন্তুদের মধ্যে থাকলেও তা মানুষের মত প্রখর নয়।
এই অনুভুতির বসেই মানুষের সমস্ত রকম মানসিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। স্নেহ, প্রেম, ভালোবাসা, দুঃখ, কা’ন্না, রাগ, অ’ভিমান, আনন্দ নির্ভর করে এই ইমশনের উপরই। এক্ষেত্রে ভালোবাসা বিষয়ক ইমশনের ক্ষেত্রে চুমুর একটা স্থান রয়েছে।
আপনি হয়ত দিনের পর দিন জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন, আবার নিয়মিত ডায়েটও করছেন। তবে সে সমস্ত কাজ শারিরিক পরিশ্রমের, কেমন হত যদি মেদ ঝরত কোনো ভালোলাগার কাজে। হ্যাঁ দিনে বারবার নিয়ম করে চুমু খেলে এমনটাই ঘটতে পারে। আর শুধু ওজন কমানোই কেন, আরও নানা উপকার হয় চুমু খেলে। আসুন জেনে নিই চুমু খেলে স্বাস্থ্যের কতরকম উপকার হতে পারে।
১। অ্যালর্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, কারুও চিংড়ি খেলে অ্যালার্জি, কারুর আবার ধুলোতে গা চুলকোয়। গবেষণা বলছে চুমু খেলে র’ক্তে অ্যালার্জি প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি তেরি হয়, এই অ্যান্টিবডি অ্যালার্জি প্রতিরধ করতে সাহায্য করে।
২। দাঁতে ব্যাথা ? পোকা বা ক্যাভিটি হয়েছে দাঁতে ? চুমু খাওয়ার সময় স্যালিভা নির্গত হয়, তার মধ্যে নিউট্রালাইজেস অ্যাসিড থাকে যা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক, ফলে চুমু খাওার ফলে দাঁতের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
৩। চুমুর শতাধিক গুনের মধ্যে একটি গুন হল ত্বকের বয়স ধরে রাখা। দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ ত্বকের বয়স বৃদ্ধির একটি মূল কারন। চুমু এই বয়সকে কমিয়ে রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
৪। মানসিক চাপ এখনকার দৈনন্দিন জীবনে অনেক অনেক সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে ফুরফুরে রাখতে চুমু ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। ৫। র’ক্তচাপ নিয়ত্রনেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চুমু, জানিয়েছেন গবেষকরা।
৬। চুমু খেলে ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়, শক্তিশালী হয় ফুসফুস। তার কার্যক্ষমতা আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
৭। ওজন কমানের জন্য বহু চেষ্টা করেও কোনও লাভ পান নি? আর চিন্তা নেই, এবার থেকে ভালোবেসে প্রিয়জনকে নিয়মিত চুমু খেলে কমবে ১২০ কিলো ক্যালরি।
৮। মাইগ্রেনের সমস্যা যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রেও চুমু এক মহৌষধ। মাথা ব্যাথা কমিয়ে দেই আদর করে খাওয়া চুমু।