রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য এবং অনৈতিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ডাকসুর ভিপি নুরু হক নুরুর পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগ প্যানেল হতে নির্বাচিত ডাকসুর ২৩ জন প্রতিনিধি। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা নুরুল হক নুরুর কাছে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা যে অভিযোগ করেছে এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র অপরাধ প্রমাণ করতে পারলে প্রশ্ন তোলার আগেই পদত্যাগ করব। কোনো ছাত্রলীগের কথায় নয়।’
ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর ২৩ জন প্রতিনিধির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘সম্প্রতি সময়ে দুইটি ফোন আলাপ ফাঁস হওয়ার পর নুরের স্বরুপ সকলের কাছে উন্মোচিত হয়েছে। নুর যে টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য এবং অনৈতিক অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত তা সকলের সামনে পরিষ্কার হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই। ’
তার বলেন, ‘নুরু তার সেই আলোচিত আন্টির ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক পুরো বিবরণ জাতির সামনে উপস্থাপন করুক। সাথে সাথে তার সেই পরিচিত ভাইয়ের পরিচয়ও প্রকাশ করা হোক। তারা বলেন, অভিযোগ যেহেতু নুরের দিকে, তাই তাকেই এসব প্রকাশ করতে হবে।’
এদিকে সন্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুর হক নুর বলেন, ‘আসলে ছাত্রলীগ হলগুলোতে এক ধরণের দখলদারত্বের সৃষ্টি করেছে। আপনারা দেখেছেন যখন আমরা হল থেকে বহিরাগতদের তাড়াতে গিয়েছিলাম তখন সলিমুল্লা মুসলিম (এসএম) হলে আমাদের সাথে কিরুপ আচরণ করা হয়েছে। এতে উপাচার্য আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে কোন কাজ হয়নি। আপনারা জানেন ৭১ হলের ঘটনার কথা, সেখানে আমাকে হল থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। আসলে তারা চায় না আমি ছাত্রদের হয়ে কিছু করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যানার্থে নুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষর ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আসলে ঐ ৫ লাখ টাকা আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ থেকে তুলতেই পারিনি। আমি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষা সফর উপলক্ষে ১০ হাজার টাকার সুপারিশ করেছিলাম কিন্তু তা এখনো দেয়া হয়নি।’