Home > অর্থনীতি > পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী, কৃষকের ভালো থাকার স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন

পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী, কৃষকের ভালো থাকার স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন

ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী, কৃষকের ভালো থাকার স্বপ্ন যে দুঃস্বপ্ন। চলতি বছরে পেঁয়াজের মৌসুমে দাম ছিলো মণপ্রতি ছিলো ৬০০/৭০০ টাকা। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে মণপ্রতি প্রায় ৩ হাজার টাকা হলে ভালো থাকার স্বপ্ন দেখে কৃষক সমাজ। পেঁয়াজ উৎপাদনে ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা বিখ্যাত।

চলতি বছরে নগরকান্দা উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে বলে নগরকান্দা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। এখানের এটেল ও বেলে-দোয়াশ মাটি পেঁয়াজ উৎপাদনে ভালো তবে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। কিছুদিনের জন্য দাম একটু বাড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তিন-চার দিন আগেও যে পেঁয়াজ মণপ্রতি তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন মণ প্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম না কমলে আমদানি করা হবে- বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। হতাশা বেড়েছে চাষীদের।
রবিবার বার (২১ মে) খোঁজ নিয়ে জানা যায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৮’শ থেকে এক হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে । ফলে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে দেশি পেঁয়াজের। দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় ফরিদপুরের পেঁয়াজের হাট-বাজারগুলোতে কয়েক দফায় বেড়ে যায় দাম। দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ আবার দাম কমতে শুরু করেছে। তবে আমদানির আগেই হঠাৎ এমন দরপতনে চিন্তায় চাষিরা। এভাবে দাম কমতে থাকলে লোকসানের আশঙ্কাও তাদের। যদিও পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি ভোক্তারা।

এদিকে নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলোক কুমার ঘোষ বিডি২৪লাইভকে বলেন, গতকাল শনিবার (২০ মে) নগরকান্দা বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিলো মণপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩’শ টাকা আজ হয়তো অন্যান্য বাজারে পেঁয়াজের বাজার আরও কমেছে। দিন দিন পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী হতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে, বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে বিধায় দাম কমতে শুরু করেছে।